স্বল্প মেয়াদের প্যাকেজ পুনর্বহাল এবং করহার কমিয়ে ইন্টারনেটের মূল্য সহনীয় করার দাবি এবং প্রয়োজনে গণশুনানী করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচাস্থ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে “ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি ও প্যাকেজ জটিলতা নিরসনে করণীয়” শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ফেলো প্রফেসর ড. এ.কে.এম রিয়াজুল হাসান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, ভোক্তা সংগঠক ও বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট সাহেদা বেগম , ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায় এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, তথ্য সম্পাদক শেখ ফরিদ প্রমুখ।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে ৩দিনসহ স্বল্প মেয়াদের সব প্যাকেজ পুনর্বহাল করা সহ আরো ৫টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো- ইন্টারনেটের মূল্য আগের চেয়েও কমাতেনো; ইন্টারনেটের মূল্যের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা কমিয়ে সহনীয় করা; গ্রাহকের পছন্দের প্যাকেজের ওপর সীমা তুলে দেওয়া; মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের ফলে গত এক মাসে গ্রাহকদের যে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তা সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা এবং প্যাকেজের সংখ্যা নিয়ে গ্রাহক বিভ্রান্তি বন্ধ করা।
সংবাদ সন্মেলনে বক্তারা বলেন, ভোক্তা হিসেবে আমাদের দাবি হলো— যেকোনও এক দিক চিন্তা করে আপনারা প্যাকেজ করেন। আমরা এমবি (ইন্টারনেট) কিনবো— সেখানে নির্দিষ্টি লিমিট দিয়ে দিয়ে দেবেন, আবার এরসঙ্গে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেবেন এটা হবে না। দাম যদি কমানো সম্ভব না হয়, তাহলে আনলিমিটেড টাইম দিতে হবে। আর যদি নির্দিষ্ট টাইম বেঁধে দেন, তাহলে আনলিমিটেড এমবি (ইন্টারনেট) দিতে হবে।
খিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গ্রাহকদের জন্য প্যাকেজ সংখ্যা ৪০ টিতে নামিয়ে আনার কারণেও সার্বিকভাবে ইন্টারনেটের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমরা মনে করি। এর ফলে একদিকে গ্রাহকের প্যাকেজ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে, অপরদিকে এর মাধ্যমে অপারেটরদের মূল্য বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। স্বল্প আয় ও প্রান্তিক গ্রাহকদের ব্যবহৃত স্বল্প মেয়াদি ও স্বল্প মূল্যের ইন্টারনেট প্যাকেজ বাতিলের কারণে গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। কঠিন এ সময়ে এহেন হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।