গত এক বছরে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ডাউনলোড ও আপলোড গতি বেড়েছে। তারপরও মোবাইল ইন্টারনেটে ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১১তম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওকলা।
ওকলার অক্টোবর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেটে এখন বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে ডাউনলোড স্পিড ২৬৯ দশমিক ৪১ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২৫ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস। ২০৬ দশমিক ৮০ এমবিপিএস গতি নিয়ে ওকলার তালিকায় মোবাইল ইন্টানেটে দ্বিতীয় অবস্থান কাতার, ১৯১ দশমিক ৭৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে তৃতীয় কাতার।
অন্যদিকে মাত্র ৩ এমবিপিএস গতির মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে নিচে কুবা (১৪২তম)। তার ঠিক ওপরে ১৪১তম অবস্থানে তালেবান সরকারের শাসনে থাকা আফগানিস্তান। দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ৪ দশমিক ৭৩ এমবিপিএস। ৭ দশমিক ১৫ এমবিপিএস গতি নিয়ে নিচের দিক থেকে তৃতীয় ইয়েমেন (১৪০তম)।
১১১তম অবস্থান বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিড ২০ দশমিক ৬৬ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ১০ দশমিক শূন্য ৬ এমবিপিএস। তবে তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, ইরান, পাকিস্তান ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে নেপাল (৮৭তম) ও ভারত (৮৯তম)।
এদিকে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে কিছুটা উন্নতি করলেও র্যাংকিংয়ে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ওকলার তথ্যানুযায়ী—বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড গ্রাহকরা অক্টোবর মাসে গড়ে ৩৮ দশমিক ৬৫ এমবিপিএস ডাউনলোড গতির সেবা পেয়েছেন। আর আপলোড গতি ৩৯ দশমিক ৯১ এমবিপিএস।
ওকলা বলছে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে সবচেয়ে এগিয়ে সিঙ্গাপুর। দেশটির ডাউনলোড স্পিড ২৬৪ দশমিক ১৫ এমবিপিএস। র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে হংকং (২৬৩.০৭ এমবিপিএস), তৃতীয় অবস্থানে চিলি (২৪৮.৬৫ এমবিপিএস)।