ভারতবর্ষের সেরা নন্দিত ও মনোরম কেন্দ্রগুলোর অন্যতম হলো ঢাকা। ঢাকার জলবায়ু সহনীয় ও স্বাস্থকর ছিলো একসময়ে। এখানে যে বাজারগুলো ছিলো তাতে প্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্যদ্রব্য সব জায়গাতে সরবরাহ করা হতো। তাই ঢাকা অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বিপুল সম্পদের একটি নগরী ছিলো ৪০০ বছর আগেও। এখানকার ব্যবসায়ীরা সুপারি, সুপারি গাছ, নারকেল ও কাপড়ের বিনিময়ে আসাম থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান সোনা ও রুপা আমদানী করা হতো। ঢাকার মানুষ আরাকানের মগদের কাছেও এদেশের প্রধান প্রধান পণ্য রপ্তানি করতো।
কোম্পানি ও ব্যক্তি মালিকানার হিসাব অনুযায়ী ১৭৪৭ সালে মোট বস্ত্র রপ্তানি পরিমাণ ছিলো আটাশ লাখ সাড়ে আটাশ লক্ষ টাকা। ১৭৯২ সালে এই পরিমান ছিলো পঁচিশ লক্ষ টাকা, ১৭৯৭ সালে ছিলো চৌদ্দ লক্ষ টাকা, ১৮০০ সালে আঠারো লক্ষ টাকা। গত ৫০ বছরে স্থানীয় ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বস্ত্র রপ্তানির পরিমান কমেছে। ইউরোপে উৎপাদিত পণ্য মানের ও প্রচারের কারনে ঢাকার জনপ্রিয় ও মূল্যবান মসলিনের চাহিদা কমতে শুরু করেছিলো। যদিও বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে এই দেশের ক্ষমতা বরাবরই ব্যাপক ছিলো। উপরের উল্লেখিত সালগুলোতে ফরাসী ও ওলন্দাজ বানিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। মোগল আমলের শেষ দিকে এবং আমাদের আমলের শুরুতে ভারতে উৎপাদিত পণ্যের উপর বিদেশীদের আগ্রহ ছিলো অপরিসীম।
যে তুলা থেকে মসলিন তৈরী হয়, তা আমাদের দেশেই বিপুল পরিমানে উৎপাদিত হয় এবং এর মান বিশ্বের অন্য যে কোন অঞ্চলে উৎপাদিত তুলা থেকে উন্নত। ধারনা করা হয়, যেসব এলাকায় প্রতিবছর গঙ্গার পানিতে প্লাবিত হয় সেসব এলাকায় সবচাইতে সেরা তুলা জন্মে। অক্টোবর ও নভেম্বরে বীজ বপন করা হয়,ফসল তোলা হয় এপ্রিল ও মে মাসে। তুলা গাছ তিন-চার ফুট উঁচু হয় এবং একই জমিতে পরপর দুই থেকে তিন বছর এর চাষ করা চলে৷ চর্তুথ বছরে সে জমি ফেলে রাখা হয় অথবা অন্য কোন ফসলের চাষ করা হয়৷
মোটা বা অমসৃণ সুতা কাটা হয় চরকায়, যখন মিহি সুতার দরকার হয় তখন তা কাটা হয় টাকুতে। যেমন- সোনারগাঁও এর এক তাঁতি ৮৮ গজ মিহি সুতা কাটা উল্লেখ রয়েঋে যার ওজন ছিলো দুই গ্রেনেরও বেশী (1/7000 পাউন্ড; এক ট্রয় গ্রেন অথবা 64.799 মিলিগ্রামের সমান)। এখন যেসব মিহি সুতা পাওয়া যায় তাতে একই সমান দীর্ঘ সুতার ওজন ৭০ গ্রেনের কম হবে না। রাজকীয় পোষাকের জন্য যেসব মূল্যবান মসলিন তৈরী হতো তার ওজন সাধারনত ১৮০০ গ্রেনের মধ্য থাকতো। তখন একজন তাঁতির মাসিক মজুরি ছিলো ৩ শিলিং ( Shilling বা শিলিং গ্রেটবৃটেনের মুদ্রাবিশেষ বা মুদ্রার একক বিশেষ। )। দিন মজুরদের মাসিক মজুরি ছিলো ১ শিলিং ৬ পেন্স। নবাব মোহাম্মদ রেজা খানের আমলে একগজ জামদানী বা ফুল তোলা মসলিনের দাম ছিলো প্রায় ৪০ শিলিং। কিন্তু মোগল আমলের পর থেকে তা কমতে শুরু করে।
আসরীয় বিদ্যার জনক বলা হয় স্যার ম্যাক্স এডগার লুসিয়েন ম্যালোয়ান ( Sir Max Edgar Lucien Mallowan) কে। ব্রিটিশ এই গবেষকের লেখা “ব্যাবিলনিয়ানস অ্যান্ড আসিরিয়ানসঃ লাইফ৷ “অ্যান্ড কাস্টমস” এবং “অ্যান্সিয়েন্ট এম্পায়ার্স অব দ্য ইস্ট” বই দুটিকে মেসোপোটেমিয়ার ইতিহাসের আকর আকর গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ এই বই দুটিতে মসলিনের কথা উল্লেখ আছে। স্যার ম্যালোয়ান লিখেছেন – খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় তিন বছর আগেও মসলিন রপ্তানি হতো ব্যাবিলনিয়াতে। ঐ আমলে ব্যাবিলনিয়ার খ্যাতিমান রাজা উর- বাগাসের রাজপ্রাসাদে ব্যবহৃত হতো মসলিন এ প্রমান পাওয়া গিয়েছে। শুধু ব্যাবিলনিয়া নয়, মসলিন যেত মিসর বা তার আশেপাশের দেশেও।
মসলিনের রং ছিলো সাদা। কিন্তু প্রাচীন কালে মিসরীয়রা এইটাকে ধূসর নীল রং এ চুবিয়ে তা মমি মোড়ানোর কাজে ব্যবহার করতো। ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক জে ই টেলর, স্যার লিওনার্ড উলি ও রেজিনল্যান্ড ক্যাম্পবেল থম্পসনের কথার জের ধরে স্যার ম্যালোয়ান বলেছেন সে আমলে বিশ্বের বৃহত্তম নগরী ছিলো উর। সেখানে “সিন্ধু বস্ত্র” বা মসলিন পাওয়া যেত। রাজা উর-বাগাস ছিলেন উর নগরী নির্মাতা। ১৯২২-১৯৩৪ সাল পর্যন্ত খনন করে প্রাসাদ,মন্দির, সমাধি থেকে যত ধরনের অমূল্য প্রত্নসামগ্রী উদ্ধার করা হয় তার মধ্যে তাম্রফলকে খোদাই করা একটি তালিকা পাওয়া যায় এই তালিকায় মসলিনের উল্লেখ আছে যদিও তা ভিন্ন নামে৷ খ্রিষ্টের জন্মের তিনশ বছর আগে রচিত “কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে”ও মসলিনের কথা আছে। এখানে বঙ্গ দেশের কথা উল্লেখ করে বলা হয় “শ্বেতম স্নিগ্ধম দুকলম” উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। “দুকূলম” অর্থ বস্ত্র।
মসলিনের নামকরন নিয়ে বহুজনের বহুমত রয়েছে। প্রাচীন আমলে উপমহাদেশের সাথে বহির্বিশ্বের বানিজ্য হতো জলপথে। মিসর, পারস্য বা আরব দেশগুলোতে উপমহাদেশ থেকে যেসব পণ্য রপ্তানি হতো তা মূলত যেতো দক্ষিণ ভারতের মসলিপতনম বন্দর থেকে। অনেকে মনে করেন এই মসলিপতনম থেকেই মসলিন নামকরন। অনেকের মতে জলদস্যুের অত্যাচার বেড়ে যাওয়ায় সাগরপথে মসলিন রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তখন মসলিন রপ্তানি হতো স্থলপথে এবং তা যেতো মেসোপোটেমিয়ার (বর্তমান ইরাক) মসুল শহরে। সে সময়ে মসুলেও উন্নত মানের কাপড় তৈরী হতো। এই অঞ্চলে উৎপন্ন কাপড়কে বলা হতো “মসুল”। তবে নাম যাই হোক বা যে কারনেই হোক এই কাপড়ের চাহিদা একসময় সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পরে। মহামূল্যবান কাপড় পরিধান করার সৌভাগ্য রাজন্যবর্গ, ধণী ব্যবসায়ী ছাড়া সাধারণ মানুষের ছিলো না। তবে দামে সস্তা এক ধরনের মসলিন ঢাকায় তৈরী হতো।এগুলোর বানিজ্যিক চাহিদা ছিলো অনেক। মোগল আমলের ইতিহাসে ১৮ ধরনের মসলিনের কথা উল্লেখ আছে। এগুলো হলো মলমলখাস,ঝুনা, রঙ, সরকার আলি, খাসা, শবনম, আবরোয়ান, আলবালে, তুঞ্জেব, তরন্দাম, বদনখাস,সরবন্দ, সরবতি, কুমিস, ডুরিয়া, চারখানা ও জামদানী। সকল মসলিনের মধ্যে মলমলখাসই সর্বোত্তম। এই কাপড় এতোই সূক্ষ্ম ছিলো যে একটা আংটির ভিতর দিয়ে গোটা কাপড়টা টেনে বের করা যেতো। দিল্লির সম্রাটগণের জন্য এই মসলিন ব্যবহার করা হত। দশ গজ লম্বা এবং একগজ চওড়া টুকরা মলমলখাস মসলিনের ওজন ছিলো ৮ তোলা ৬ আনা। মলমলখাস তৈরী ঠিকমত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য সোনারগাঁয়ে কুঠি বসিয়ে আলাদা লোক রাখা হতো। এর দ্বায়িত্ব পালন করতেন একজন দারোগা। তার তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতেন কাপড়ের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য।
ঝুনাকে ইউরোপীয়রা বর্ণনা করেছে “স্বর্গীয় ও অমূল্য” বস্ত্র হিসেবে। বিশগজ লম্বা ও একগজ চওড়া এক টুকরো ঝুনার ওজন হত সাড়ে ৮ আউন্স। “কুলভা” নামে একটি প্রাচীন তিব্বতীয় গ্রন্থে “ঝুনা” সম্পর্কে একটি ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। একবার নাকি কলিঙ্গরাজ একখানি ঝুনা মসলিন কাপড় উপহার হিসেবে কোশলরাজকে পাঠিয়েছিলেন। “Gtsing Dgat-mo” নামের এক ধর্মযাজিকা কোনো এক কৌশলে সেটা হস্তান্তর করে। পরে কোন একদিন সেই কাপড় পরিধান করে ধর্মযাজিকা জনসম্মুখে বের হলে লোকজন তাকে নগ্ন বলে অপমান করে। এরপর থেকে ধর্ম যাজক -যাজিকাদের মসলিন পরিধান নিষিদ্ধ করে। ঝুনা তৈরী হতো মূলত নর্তকীদের জন্য।
প্রাচীন কালে “রঙ” নামের মসলিনও ছিলো “ঝুনা”র মতই। বাংলার নবাব ও সুবেদারগণ প্রতি বছর বিভিন্ন দ্রব্য উপঢৌকন হিসেবে পাঠাতেন দিল্লির সম্রাটের কাছে। “সরকার আলি” মসলিন পাঠানো হতো। ফরাসি ভাষায় শবনম মানে হলো শিশির। গল্প আছে একবার এই মসলিন ঘাসের উপর শুকাতে দেওয়ার পর গরু তা খেয়ে ফেলে ঘাস ভেবে। এক গজ চওড়া ও বিশ গজ দীর্ঘ একখন্ড শবনমের ওজন হতো ১০ থেকে ১৩ আউন্স। মানের দিক থেকে শবনমের পর ছিলো “আবরোয়ান”। “আব” অর্থ পানি এবং “রোয়ান” অর্থ প্রবাহ৷ এই মসলিন পানির সাথে রাখলে পানি আর কাপড়ের পার্থক্য বোঝা যেতো না৷ এই মসলিনের ওজন ছিলো ৯ থেকে সাড়ে ১১ আউন্স।
মানের দিক থেকে মসলিনের তালিকায় একবারে শেষে ছিলো জামদানী।জামদানীতে ছিলো বিভিন্ন রকমের। তার মধ্যে তোড়াদার, কারেল, বুটিদার, তেরছা, জলবার, পান্নাহাজার, মেল, দবলিজাল, চাওয়াল, ডুরিয়া, গেদা, সাবুরগা ইত্যাদি ছিলো উল্লেখযোগ্য।
মোগল আমলে রাজ পরিবারে নারীদের পছন্দের তালিকায় ছিলো মসলিন। সম্রাজ্ঞী নূরজাহান এই কাপড় খুব পছন্দ করতেন৷ সম্রাট জাহাঙ্গীর তার পত্নীর জন্য বিশেষ ধরনের মসলিন বুনিয়ে নিতেন ঢাকা থেকে। একবার ইরানের শাহ্ তিরিশ গজ মসলিন নিয়েছিলেন নারকেলের খোলের মধ্যে। যার ওজন ছিলো মাত্র চার- পাঁচ তোলা। ১৮৬২ সালে ইংল্যান্ডের এক প্রদর্শনীতে ম্যাঞ্চেস্টারের কলের তৈরী কাপড়ের পাশাপাশি ঢাকার মসলিন জায়গা করে নিয়েছিলো। দুটি কাপড়েড পার্থক্য নিয়ে চিকিৎসক ও লেখক জেমস ফর্বস ওয়াটসন বলেছিলেন- “ঢাকা থেকে আসা হাওয়ায় বোনা কাপড়ের পাশে দাঁড়াতে পারে এমন কাপড় মেশিনেও তৈরী করা সম্ভব হয়নি।”
মসলিন শুধু নারী না পুরুষেরও শখের পোষাক ছিলো। ১৬৬৫ সালে শাহজাদা দারা শিকো ও তার ছেলে সুলাইমান শিকোর একটি চিত্রকর্ম পাওয়া যায় যেখানে উনারা মসলিন পোষাক পরিহিত ছিলেন।
সাধারনত ঠান্ডা সময়ে মসলিনের সুতা কাটা হতো। গরমকালে সূর্য উঠার আগেই সুতা কাটার কাজ শেষ করা হতো। সুতা কাটা ও মসলিন বুননের কাজ অধিকাংশই করতো কিশোরীরা। এর কারন এই বুনন কাজে খুব মনোযোগ দিতে হতো।যে মসলিন বুনতো তার রোদে যাওয়া বারণ ছিলো। এর কারন শরীরের তাপেও কাপড় বুনন ক্ষতিগ্রস্থ হতো। পুরুষেরা এই নিয়ম মেনে চলতে পারবেন না বলেই কিশোরীরা এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করতেন। অনেক সময় পানির নিচে রেখেও এই মসলিন বুনন করা হতো।
ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে কিছু এলাকায় ফুটি নামে এক ধরনের তুলা উৎপন্ন হতো এই তুলা ব্যবহার করে সবচাইতে উন্নত মানের মসলিন তৈরী হতে। এছাড়া বয়রাতি ও দেশী নামে আরো দুই ধরনের তুলা উৎপন্ন হতো ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়।এসব তুলা নিম্নমানের মসলিন তৈরীতে ব্যবহার করা হতো। উন্নতমানের মসলিন বুননের পর ব্রাহ্মপুত্রের তীরে বালি ও কাদামাটি খুড়লে স্বচ্ছ পানি জমত সেখানে। মসলিন তৈরীর পর লেবু রসে ভিজিয়ে রাখা হতো তাই ঢাকার আশেপাশে অসংখ্য লেবু বাগান গড়ে উঠেছিলো।
ঢাকা ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও তৈরী করা যায় নি। তাই মসলিন একমাত্র বাংলাদেশ তথা ঢাকার সম্পদ। ঢাকা, সোনারগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, ধামরাই, ডেমরাতে উন্নত মানের মসলিন তৈরী হতো। বর্তমানের পুরান ঢাকার যদুনাথ বসাক লেন, তাঁতিবাজার, লালচাঁদ মুকিম লেন, মহাজনপুর, যোগীনগর ছিলো মসলিন তৈরীর প্রধান জায়গা।
সেসময়ে মসলিন এতো মূল্যবান পোষাক হলেও তাঁতিদের আর্থিক অবস্থা ছিলো করুন। বিশেষ করে ১১৭৬ সালে ছিয়াত্তরের মন্বত্তরে যে দুর্ভিক্ষ হয় তখন কারিগরেরা আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হন। এরপর অনেকেই পিতৃপুরুষ এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় আসেন। ইংরেজদের মসলিনের উপর কুনজর পরে। এই শাসকগোষ্ঠী ম্যাঞ্চেস্টারের কাপড় পরিধানের প্রচার শুরু করে। ফলে মসলিনের জৌলুস কমতে থাকে। ইংরেজরা একসময়ে মসলিন বোনা বন্ধ করে দেন। ইতিহাসে আছে – মসলিনের কারিগরদের আঙুল কেটে দেওয়া হয়।
মসলিনের ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধশালী। মোঘল আমলে যে ১৮ রকমের মসলিনের বিবরণ পাওয়া যায়। তার মধ্যে “জামদানী” একটি। “জামদানী” বাংলাদেশের প্রথম ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। মসলিন নিজেও চতুর্থ ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তথ্য সূত্র: চার্লস ডয়লির ঢাকা স্মৃতিময় নগরী: মলয় পাঁড়ে
উম্মে সাহেরা এনিকা
ওনার: তেজস্বী, ফাউন্ডার: ঢাকাপিডিয়া