সেলফোন প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও দীর্ঘমেয়াদে ডিভাইস ব্যবহারকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন ব্যবহারকারীরা। পুরনো স্মার্টফোন মেরামত করে নিরাপত্তা ক্যামেরা বা অ্যালার্ম ঘড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি বর্তমানে ডিভাইস পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত কিছু বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গিজচায়না সূত্রে বেশকিছু কারণ সম্পর্কে জানা গেছে।
ডিভাইসের স্টোরেজ কমে যাওয়া: বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার ও ফাইল সংরক্ষণের কারণে ডিভাইসের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে থাকে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে ডিভাইসের পক্ষে যথাযথভাবে স্টোরেজ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এটি সেলফোন বা স্মার্টফোনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া ও পুরনো হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। এ সময় প্রতিনিয়ত ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলা, অ্যাপ আনইনস্টলসহ বিভিন্নভাবে স্টোরেজ বাড়াতে চাইলেও সম্ভব হয় না।
দ্রুত ব্যাটারি শেষ হয়ে যাওয়া: স্বাভাবিকভাবে দীর্ঘদিন কোনো স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহার করা হলে এর ব্যাটারি পারফরম্যান্স কমতে শুরু করে। চার্জ হতে দেরি হওয়া, ব্যাটারি ফুলে যাওয়াসহ দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া অন্যতম কারণ। ফলে পুরো দিনের ব্যাকআপের জন্য পাওয়ার ব্যাংকের ওপর নির্ভর করতে হয়। ব্যাটারি পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান পাওয়া গেলেও ব্র্যান্ডভেদে এ কাজ সম্পাদনে ব্যয় ও সময়ের বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারি পরিবর্তনের খরচ যদি বেশি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে নতুন স্মার্টফোন কেনা ভালো।
ধীর গতিতে চলা: দীর্ঘদিন একটি সেলফোন ব্যবহারের পর বিভিন্ন কারণে এর সক্ষমতা কমতে থাকে। এগুলো সমাধানে আলাদা উপায় থাকলেও পরিপূর্ণ মুক্তি নেই। ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলা, অ্যাপ আনইনস্টলসহ অনেক সময় সেলফোন রিসেট দিলেও সমস্যার সমাধান হয় না। যে কারণে বিশেষজ্ঞদের অভিমত পুরনো ডিভাইস মেরামত করার চেয়ে নতুন সেলফোন কেনা ভালো।
দ্রুত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া: সেলফোনের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। নির্ধারিত সক্ষমতার বাইরে কাজ করলে যেকোনো সেলফোনের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। দীর্ঘ সময় তাপমাত্রা বেশি থাকলে তা ব্যবহারকারী ও ব্যাটারির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দুটি কারণে সেলফোনের তাপমাত্রা বেড়ে থাকে। প্রথমত, সক্ষমতার বাইরে গিয়ে মোবাইলের ওপর চাপ তৈরি এবং অ্যাপ অনুযায়ী কাজ না করতে পারা।
ফিজিক্যাল বা বাহ্যিক ক্ষতি: সেলফোন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এর বাহ্যিক ক্ষতির বিষয়টি প্রচলিত। এর মধ্যে বাটন বা টাচ কাজ না করা, চার্জিং পোর্টের সমস্যা, ডিসপ্লে ফেটে যাওয়ার মতো বিষয় রয়েছে। বাহ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো ডিভাইস মেরামতের সুযোগ থাকলেও এর ব্যয় অনেক বেশি।
অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা ও ভার্সন না থাকা: অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইওএস দুই অপারেটিং সিস্টেমেই প্রতিনিয়ত আপডেট আসছে। সেদিক থেকে নির্দিষ্ট সময় পর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের আপডেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে আগের কোনো অ্যাপ পুরনো ডিভাইসে ব্যবহার করা যায় না। এর মাধ্যমে একটি বিষয় স্পষ্ট, পুরনো সেলফোনে আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা যাবে না।
অ্যাকসেসরিজ স্বল্পতা: বাজারে নতুন মডেলের কোনো স্মার্টফোন এলে সেটির জন্য আলাদা অ্যাকসেসরিজ থাকে। এর মধ্যে গ্লাস প্রটেক্টর, কেসিংসহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সরবরাহকারীরা বাজার থেকে পুরনো সব অ্যাকসেসরিজ সরিয়ে নেয়। আর এর মাধ্যমে ব্যবহৃত স্মার্টফোনের বয়স বা ব্যবহার উপযোগিতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।