গ্রাহকের সাড়া জাগানো আয়োজন নিয়ে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি আবারও ‘বিগ ব্যাং-৩’ অফার নিয়ে আসছে। মঙ্গলবার এক ফেসবুক পোস্টে এই জানিয়েছে ইভ্যালি। আগামি ১ মার্চ ইভ্যালির সবচেয়ে বড় আয়োজন। প্রতিষ্ঠানটি পূর্বের সকল বিক্রির রেকর্ড ভাঙতে চাই বিগ ব্যাং-৩ মাধ্যমে ।
ইভ্যালির ‘বিগ ব্যাং ৩’ অফারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে স্যামসাং, মিনিস্টার, যমুনা, ইউনিলিভার, টিকে গ্রুপ, সেনা, তীর, নোকিয়ার মত দেশ সেরা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে রমজান উপলক্ষে খেজুর এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ও ফ্যাশন আইটেমে থাকবে স্পেশাল ডিসকাউন্ট।
গ্রাহক যে কোনো পণ্য অর্ডার দেয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইকুরিয়ারের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এখানে সকল পণ্য সিওডিতে (ক্যাশ অন ডেলিভারি) পাওয়া যাবে। গ্রাহক আগে পণ্য বুঝে পাবে এরপর টাকা পেমেন্ট দেবে। ফলে গ্রাহক ঝামেলামুক্ত হয়ে তার কাঙ্ক্ষিত সেরা পণ্যটি দ্রুত পেয়ে যাবে। মূলত ইভ্যালিতে যেসব অর্ডার আসবে সেগুলো দেখে মার্চেন্ট সরাসরি ইকুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেবে। ইকুরিয়ার পণ্যের টাকা পেয়ে সেগুলো মার্চেন্টকে পেমেন্ট দেবে। ইভ্যালি শুধুমাত্র তার লভ্যাংশ মার্চেন্ট থেকে পেয়ে যাবে।
ইভ্যালি নতুন করে ‘বিগ ব্যাগ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাত্রা শুরুর প্রথম দিনেই বাজিমাত করে। প্রথম ক্যাম্পেইনেই মাত্র ২০ ঘণ্টায় ৮০ হাজারের বেশি ইনভয়েসে ২ লাখের বেশি পণ্য বিক্রয়ের অর্ডার পায় প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম ক্যাম্পেইনেই পরে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন থেকেও বেশ সাড়া পাই ইভ্যালি ।
ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে শুরু করছে ইভ্যালি । এক মাসের আয়ের টাকার লাভের অংশ থেকে ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি । এছাড়া আগামী মে মাস থেকে চেকসহ পুরাতন সকল দেনার টাকা পরিশোধ করা শুরু করবে। অর্ডারের ক্রমানুযায়ী সকল গ্রাহকের মূল টাকা ধাপে ধাপে পরিশোধ করা হবে। অনেক ঝড় ঝাপটার পরে নতুন করে আবার পুরাতন সার্ভারে ফিরেছে ইভ্যালি। এর ফলে সব তথ্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে ইভ্যালির ব্যবসার প্রক্রিয়া খুবই স্বচ্ছ জানিয়ে ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল বলেন, এখানে কোনো ধরনের প্রতারণার আর সুযোগ নেই। আমাদের এখন অর্ডার প্রসেসটা হচ্ছে ক্যাশ অন ডেলিভারি। অর্থাৎ পণ্য হাতে পেয়ে আপনি টাকা দেবেন। এখানে কোনো অর্থ পণ্য পাওয়ার আগে আমাদের কাছে আসার সুযোগ নেই।
ইভ্যালির আগের ক্যাম্পেইনের তুলনায় এবার বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। আগে ব্যাপক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলেও এবার এক টাকাও বিজ্ঞাপনে ব্যয় করা হয়নি। আগে বেশিরভাগ পণ্যই লোকসানে বিক্রি করা হতো। তবে এবার প্রায় সব পণ্যে খুব সামান্য পরিমাণ লাভ রাখা হয়েছে। এই লাভের অর্থ দিয়ে কোম্পানির মাসিক ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। এজন্য ইভ্যালিকে নতুন করে কোনো দেনায় পড়তে হবে না। বরং লাভের পরিমাণ একটু বাড়লেই আগের ঋণ শোধ শুরু করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ রাসেল।
অন্যদিকে আগে গ্রাহকরা পণ্য পাওয়ার আগেই সরাসরি ইভ্যালিকে টাকা পরিশোধ করত। কিন্তু এবার ক্যাশ অন ডেলিভারি হওয়ায় গ্রাহকের কোনো ঝুঁকি নেই। এ ছাড়া গ্রাহকের পরিশোধ করা পণ্যের মূল্য এখন থেকে সরাসরি বিক্রেতার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে বিক্রেতার কোনো বাকি পড়ার ঝুঁকি নেই।