গত বছরের শুরুর দিকে একজন হ্যাকার চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অভ্যন্তরীণ মেসেজিং সিস্টেমে ঢুকে কোম্পানির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ডিজাইন সম্পর্কিত তথ্য চুরি করে।
এ বিষয়ে3নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হ্যাকার কোম্পানির একটি অনলাইন ফোরাম থেকে তথ্য চুরি করে। ফোরামে ওপেনএআইয়ের কিছু কর্মী সর্বশেষ সব প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
তবে এআই নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারেনি হ্যাকার। তবে এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি ওপেনএআই। কোম্পানিটির নির্বাহীরা গত বছরের এপ্রিলে একটি বৈঠকে কর্মী এবং কোম্পানির বোর্ডকে তথ্য চুরির বিষয় অবহিত করেছিলেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রাহক বা অংশীদারদের সম্পর্কে কোনো তথ্য চুরি না হওয়ায় নির্বাহীরা জনসমক্ষে খবরটি প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি। তারা ঘটনাটি জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেননি। এ বিষয়ে তাদের ধারণা, হ্যাকারের সঙ্গে বিদেশী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক সংস্থাটি কোম্পানিটি হ্যাকিং সম্পর্কে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও জানায়নি।
এআইয়ের একজন মুখপাত্র ফক্স বিজনেসকে বলেছেন, ‘গত বছর আমাদের বোর্ড এবং কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা অন্তর্নিহিত নিরাপত্তা সমস্যা চিহ্নিত করে ঠিক করেছি এবং আমাদের নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করে যাচ্ছি।’
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকিংয়ের এ ঘটনায় ওপেনএআইয়ের কিছু কর্মীর মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল। কারণ প্রতিপক্ষ কোনো বিদেশী সরকার কোম্পানির এআই প্রযুক্তি চুরি করতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে। সেই সঙ্গে কোম্পানির নিরাপত্তা পরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
চলতি বছর মে মাসে ওপেনএআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইন্টারনেটজুড়ে প্রতারণামূলক কাজে তাদের এআই মডেল ব্যবহার হচ্ছে এমন পাঁচটি গোপন কার্যক্রম প্রতিহত করা হয়েছে। ওই মাসে ওপেনএইসহ এআই নিয়ে কাজ করছে—এমন ১৬ কোম্পানি একটি আন্তর্জাতিক সভায় প্রযুক্তিটি নিরাপদে বিকাশ করার প্রতিশ্রুতি দেয়।