জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (এনআইসিটি) ফোটোনিক নেটওয়ার্ক ল্যাবরেটরির নেতৃত্বে এক জাপানি গবেষক দল ইন্টারনেটে ডাটা ট্রান্সফারের গতির রেকর্ড গড়েছে। দলটি প্রতি সেকেন্ডে ৪০২ টেরাবাইটে গতিতে ডাটা ট্রান্সমিশন করতে সক্ষম হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতির চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন গুণ দ্রুত।
গবেষকদের দাবি, তাদের পদ্ধতির ইন্টারনেট ডাটা ট্রান্সফারের গতি এত দ্রুত যে এর মাধ্যমে মাত্র ১ সেকেন্ডে ১২ হাজার ৫০০ সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে। দলটি গবেষণায় প্রচলিত বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করেছে। তবে সিগন্যালকে আরো শক্তিশালী করার নতুন একটি মেথড বা পদ্ধতি অবলম্বন করেছে।
এনআইসিটি জানিয়েছে, এর আগে অব্যবহৃত ওয়েভ লেংথ ব্যান্ডগুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে গবেষকদের নতুন পদ্ধতিটি ভবিষ্যতের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কগুলোর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তারা আশা করছে, নতুন পদ্ধতিটি ভবিষ্যতের ডাটা পরিষেবাদির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং বিদ্যমান অপটিক্যাল ফাইবারনির্ভর অবকাঠামোতেই যোগাযোগ সক্ষমতাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের গড় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ডাউনলোড স্পিড ২৪৮ দশমিক ২৭ মেগাবিট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ও আপলোডের স্পিড ৩৪ দশমিক ২৩ এমবিপিএস।
এনআইসিটি জানিয়েছে, গবেষকরা তাদের দ্রুত গতির ইন্টারনেট পদ্ধতি নিয়ে দীর্ঘ দূরত্বে ডাটা ট্রান্সফারের বিষয়ে আরো কাজ করাতে চান। তবে এতে আরো সময় লাগবে। এর আগে গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামের অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক দল স্ট্যান্ডার্ড অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে ৩০১ টেরাবাইট ইন্টারনেটে ডাটা ট্রান্সফারের রেকর্ড করেছিলেন।