ডিজিটাল টেকনোলোজি প্রতিদিনকার জীবন সহজ, দ্রুত আর দারুণ করছে – এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। ঘরের খাবার খেতে ইচ্ছে করছে না, গুগল করে চাইলেই অর্ডার করতে পারেন পুরান ঢাকার কাচ্চি কিংবা এই সিজনে কোন প্রতিষ্ঠান কী ধরণের নকশার পোশাক বাজারে আনছে তাও চাইলে জেনে নিতে পারেন ঘরে বসেই! এতে জীবন যাপনের ধারায় বাড়তি আয়েশ এলেও সঙ্গে যোগ হয়েছে সাইবার হামলার ভয়।
অনলাইনে সার্চ থেকে সাইবার ট্র্যাপিং প্রতিহত করতে চলুন তবে দেখে নেই নিরাপদ থাকার উপায়সমূহ:
ওয়েবসাইট ঠিকানা ২বার চেক করতে ভুলবেন না
অ্যাটাচমেন্ট কিংবা লিংক থেকে কোনো সাইটে প্রবেশের আগে ও পরে ভালো করে ওয়েবসাইটটির ইউআরএল চেক করুন। হ্যাকাররা প্রায় একই নাম দিয়ে নকল সাইট বানিয়ে তাতে সার্চ/লগইন করতে উৎসাহিত করে থাকে!
পরীক্ষিত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা
কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে অ্যান্টিভাইরাসের কোনো বিকল্প নেই। অনলাইন থেকে নামসর্বস্ব ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস না নামিয়ে বাজার থেকে দেখেশুনে যাচাই করে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের লাইসেন্সড ভার্সন ক্রয় করুন।
ডিভাইস এবং সফটওয়্যার আপডেটেড রাখা
সাইবার নিরাপত্তার জন্য এটি সবচেয়ে বেশি জরুরী। অনেকেই এখনও এমন অনেক ডিভাইস/অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন নির্মাতারাও যেসবের আর সাপোর্ট দেয় না। এসব থেকে সাইবার হামলার শিকার হওয়ার ঝুঁকি সবচাইতে বেশি! কেউ কেউ আবার সামান্য কিছু এমবি বাঁচাতে অটো-আপডেট বন্ধ রাখেন – এমনটি করবেন না। নিরাপদ থাকতে যাবতীয় সফটওয়্যারও আপডেটেড রাখুন।
পাবলিক ওয়াইফাইকে না বলুন
একান্ত না হলে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হলেও পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবুহার করে লগড ইন থাকা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ না দেয়া ও কোথাও কিছু না লেখা ভালো।
ফাঁদে পা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিন
ফিশিংয়ের শিকার হলে বা ভুল কোথাও ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংকিং ডিটেইলস প্রবেশ করালে ধরতে পারার সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানান। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট একাউন্ট সেটিংসে গিয়ে লগ আউট ফ্রম অল ডিভাইস দিয়ে পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা উচিত।