পদত্যাগ করেছেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে বেসিস ২০২৪-২৬ কার্য নির্বাহী কমিটির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ চিঠিতে বেসিস-কে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে সড়ে দাঁড়ালেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে এই পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে কি না তা শেষ খবর পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। চিঠিটির অনুলিপি বেসিস সচিবালয়, বাণিজ্য সচিব ও মন্ত্রণালয়ের ডিটিও শাখাকে দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে রাসেল টি আহমেদ লিখেছেন, বেসিস সভাপতি হওয়ায় আমাকে নামে-বেনামে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব লক্ষ্য করা গেলেও বেসিস ইসি’র কাছ থেকে আমি এ ধরনের লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।
তবে এই অভিযোগ সভাপতি হিসেবে সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে বিবেচনায় এই পদত্যাগ বলে জানিয়েছেন রাসেল।
চলতি বছরের ৯ মে দেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪–২৬ মেয়াদের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হন রাসেল টি আহমেদ। । ১১ সদস্যের এই ইসিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সিসটেক ডিজিটালের রাশিদুল হাসান। কার্যত তার কাছেই এখন থাকছে সভাপতির দায়িত্ব।
ইসিতে সহসভাপতি (প্রশাসন) মাস্টারকার্ড সিঙ্গাপুরের সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও সহসভাপতি (অর্থ) ডিভাইন আইটির ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান এবং পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভান্সড ইআরপির মো. মোস্তাফিজুর রহমান, শুটিং স্টারের দিদারুল আলম, এআর কমিউনিকেশনসের এম আসিফ রহমান, অ্যানালাইজেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী, বন্ডস্টেইন টেকনোলজিসের মীর শাহরুখ ইসলাম, কার্নিভ্যাল অ্যাসিউরের বিপ্লব ঘোষ ও এমএস ফাইনালাইটিকসের সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ।
এদিকে বেসিস সংস্কারের দাবিতে দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করছে বেসিস সংস্কার পরিষদ। সেখানে এই পরিষদের জুলহাস মিয়াজি, মিজানুর রহমান, মনিরুজ্জামান, ফৌজিয়া, মুস্তাকিন বিল্লাহ প্রমুখ সংস্কারের রূপরেখা দিচ্ছেন।
এর আগে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে ছাত্র হত্যার দায়ে বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এছাড়াও দুপুরে কাওরান বাজারে বেসিস কার্যালয়ের সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী আইসিটি উদ্যোক্তা কাউন্সিল। কাউন্সিলের সমন্বয়ক মোঃ পরাগ বেসিস সভাপতির অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। উভয় সংগঠনই সেখানে প্রশাসক বসানোর দাবি জানিয়েছিলেন।
এছাড়াও একই দোষে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি’ও দোষী বলে উল্লেখ করেছেন আন্দোলনকারীরা। ‘ইন্টারনেট বন্ধে এই সংগঠেনের নেতাদেরও দায় রয়েছে’ বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘ফ্যাসিস্ট ও পতিত’ সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের আগে থেকেই সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।