আপনি জানলে অবাক হবেন টয়লেটের কমোডের চেয়ে বেশি জীবাণু থাকে ল্যাপটপে। যা খালি চোখে দেখা যায় না। ল্যাপটপের কি-বোর্ড ও ডিসপ্লেতে মজে এসব নোংরা। ফলে দ্রুতই নষ্ট হচ্ছে পার্সোনাল এই কম্পিউটার। তাহলে উপায়? উপায় হচ্ছে, নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখার উপায়
ল্যাপটপের ধারে কাছে কখনো তরল কিছু রাখবেন না। যেমন- চা, কফি, দুধ, শরবত, লবণ, পানি ইত্যাদি। গরম চা, কফি যাই খান না কেন তা ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন আর নিতান্তই যদি রাখার প্রয়োজন পড়ে তবে ঢেকে রাখুন যাতে গরম ভাপ ল্যাপটপের কাছে না পৌঁছে।
সব সময় ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস রাখবেন। মনে রাখবেন, ভাইরাস থেকে আপনার ল্যাপটপ কখনই নিরাপদ না আর তাই ভালো মানের যেকোনো অ্যান্টিভাইরাস যেমন ক্যাস্পারাস্কি, নরটন, আভাইরা ইত্যাদি এ্যান্টিভাইরাস ল্যাপটপে ইনস্টল করে নিন।
যখন আপনি ল্যাপটপ বন্ধ করবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন যেন কোন ক্ষুদ্র জিনিসও ল্যাপটপের উপর না থাকে। যেমন কলম, পেন্সিল ইত্যাদি। দুই হাত দিয়ে ধরে ঢাকনা দিয়ে ঢাকুন। এক হাত দিয়ে ধরলে ল্যাপটপের ওপর চাপ পড়ে। কখনও ল্যাপটপ সরানোর প্রয়োজন হলে ল্যাপটপের মনিটর ধরে কোনদিন তা উঠাবেন না। এতে মনিটরের ডিসপ্লে নষ্ট হতে পারে।
কখনও ল্যাপটপের ওপর খাবার রেখে খাবেন না। এতে খাবারের ছোট দানা আপনার কি-বোর্ডে অনেক সময় ঢুকে গিয়ে ধীরে ধীরে কি-বোর্ডের বাটন নষ্ট করে দিতে পারে। ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় হাত যেন পরিষ্কার থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
ল্যাপটপ সব সময় একটি সমান্তরাল ও পরিষ্কার জায়গার উপর রেখে কাজ করবেন। মাঝে মাঝে পুরাতন টুথব্রাশ দিয়ে কি-বোর্ড ও অন্যান্য পার্টস পরিষ্কার করুন। কষ্টের টাকায় কেনা ল্যাপটপ যদি খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সত্যি অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপ ভালো রাখতে পারেন অনেকদিন।