জামালপুরে প্যান্টের পকেটে থাকা সিম্ফনি মোবাইল বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন সোহেল রানা (২৫) নামের এক তরুণ।
বুধবার দুপুরে জামালপুর শহরের বেলটিয়া খুপিবাড়ী এলাকায় এনজিও গ্রামীণ মানবকল্যাণ সংস্থার (ইউএসএইড) ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের কক্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত সোহেল রানা জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার সিঁধুলী ইউনিয়নের চরলোটাবর গ্রামের কৃষক লাল মিয়ার ছেলে। তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির জন্য গ্রামীণ মানবকল্যাণ সংস্থার জামালপুরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে আবেদন করলে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হন সোহেল রানা। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে বুধবার ওই কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারীর কক্ষে বসেছিলেন তিনি। এ সময় তার প্যান্টের ডান পকেটে আগুন ধরে যায় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পকেটে থাকা ‘সিম্ফনি ডি-৫৪ জে’ মডেলের ফোনটির বিস্ফোরণ হয়। এতে সোহেলের ডান পায়ের উরু ঝলসে যায়। সেখান থেকে দ্রুত তাকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালের পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সোহেল।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সোহেল রানা বলেন, ‘আমি ওই এনজিওতে গত ৯ জুন যোগদান করেছি। আমাদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন আমার প্যান্টের ডান পকেট বেশ গরম লাগছিল। তাকিয়ে দেখি প্যান্টের পকেটে আগুন ধরে গেছে। দেখামাত্রই আমি পকেটে থাকা ‘সিম্ফনি ডি-৫৪ জে’ মডেলের ফোনটি বের করে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই সেটটি বিস্ফোরণ হয়। তখন আমার সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এনজিওর ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী মোস্তাক আহমেদ বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরির জন্য সোহেল রানা গ্রামীণ মানবকল্যাণ সংস্থার জামালপুরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে আবেদন করেন। চাকরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়ে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। ঘটনার সময় আমার কক্ষেই বসেছিলেন তিনি। মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে মানুষ মারা যাওয়া বা আহত হওয়ার ঘটনা কেবল সংবাদপত্র, ফেসবুক এবং ইউটিউবে দেখেছি। কিন্তু আজকে নিজের চোখেই দেখলাম। সেটটি বিস্ফোরণের সময় ছোটখাটো একটি ককটেল বিস্ফোরণের মতো বিকট শব্দ হয়। মোবাইল বিস্ফোরণের শব্দে কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অফিসের অন্য কর্মীরা চিকিৎসার জন্য তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
জামালপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. জাকিউল বলেন, আহত সোহেল রানার চিকিৎসা চলছে। তার ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে উরুর খানিকটা মারাত্মভাবে দগ্ধ হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেয়া হয়েছে। তবে সোহেলের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।