নতুন বিনিয়োগ আনতে ব্যর্থ হওয়ায় আগের বিনিয়োগকারীদের রোষানলে পড়তে হয়েছিল পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হুসেইন মো. ইলিয়াসকে। এমনকি আগের বিনিয়োগকারীরা দেশীয় এই রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানটির এই সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
২৭ জুন, বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি একদিনে পাঠাও থেকে তিন শতাধিক কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। এ ঘটনার পর বিনিয়োগকারীদের চাপের বিষয়টি সামনে এলো।
ইংরেজি দৈনিকটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্ভাব্য একটি বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব যথাসময়ে বাস্তবায়িত না হওয়া থেকে এই সংকট শুরু হয়। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার নতুন বিনিয়োগ গ্রহণের লক্ষ্য ছিল পাঠাওয়ের।
তবে এতে ব্যর্থ হয় প্রতিষ্ঠানটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ফলে পূর্বের বিনিয়োগকারীরা স্টার্টআপটির সিইও এবং কয়েকজন সিনিয়র এক্সিকিউটিভকে চাকরি থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানায়।
তবে পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও ইলিয়াস।
আর্থিক সংকট মোকাবেলায় ও প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাঠাও। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা এমনটিই দাবি করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অনাকাঙ্খিত ব্যয় বৃদ্ধি রোধে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে কর্মী ছাঁটাই করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রযুক্তিনির্ভর, সহজলভ্য, বিরতিহীন ও গ্রাহকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা নিজেদের প্রস্তুত করছে বলেও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।