রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের শাহাজানপুর থানা অংশে ছুরিকাঘাতে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং নেটওয়ার্ক পাঠাওয়ের এক চালকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ফ্লাইওভারের মধ্যবর্তী স্থান (পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে) থেকে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
দুপুরে শাহাজানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মিলন (৩৫)। দুই সন্তানের জনক মিলন পরিবারের সঙ্গে মিরপুর ১ নম্বরের গুদারাঘাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এসআই জানান, মিলনকে ফ্লাইওভার থেকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার গলায় সাতটি সেলাই দেন। এরপর চিকিৎসকদের নির্দেশে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
মিলনের এক বন্ধুর বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, মিলন রাত ২টা ১২ মিনিটে তার এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছেন। তাকে মিলন জানিয়েছিলেন, তিনি মালিবাগ সিআইডি অফিসের সামনে দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন।
রাতে রাস্তা খালি থাকা সত্ত্বেও কী কারণে মিলন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলায় উঠলেন এ ধরনের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান এসআই আতিকুর।
তিনি আরও জানান, পাঠাও অফিসে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, রাইড শেয়ারে মিলনের লাস্ট কল ছিল ৭ আগস্ট। সেজন্য মিলন মৌখিক চুক্তিতে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন কি-না, সেটা সামনে আসছে। ঘটনার পরপরই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করা হয়েছে। সব বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।