অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিষেবা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন চালকরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা এখন চুক্তি করে ভাড়ায় গাড়ি চালাচ্ছেন। তাদের দাবি, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় আগের মতো যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। যদিও বিআরটিএ জানিয়েছে, এখনই অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়া হবে না।
সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পয়লা জুন থেকে গণপরিবহণ চলাচল শুরু করেছে। তবে গণপরিবহন চললেও বন্ধ রাইড শেয়ারের অ্যাপ ভিত্তিক পরিবহন সেবা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন কয়েক লাখ গাড়ি চালক।
বিআরটিএ জানায়, রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ যানবাহনই দুই চাকার মোটরসাইকেল। এক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা চালক-যাত্রী উভয়ের পক্ষেই অসম্ভব। রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে কার্যক্রম চালুর অনুমতি চাচ্ছে। তাদের দাবি, গণপরিবহনের চাইতে রাইড শেয়ার নিরাপদ।
অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং এর বাইক চালক শহিদুল ইসলাম বলেন , রাইড শেয়ারিং এ কাজ করতে আমার ঢাকাতে আসা । বেশ ভালো চলতেছিল সব ।তবে করোনার কারনে রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকতে খুব বিপাকে আছি।
তেজগাঁও কলেজের ছাত্র রাজিব বলেন, রাইড শেয়ারিং করে আমার পড়াশোনা খরচ চলে পাশাপাশি পরিবারের খরচ চলত । রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকতে পরিবার নিয়ে চলতে খুব সমস্যা হচ্ছে ।
খালেদ নামে একজন উবার চালক বলেন , আমি এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতাম পাশাপাশি উবারে রাইড শেয়ারিং করতাম । রাইড শেয়ারিংয়ে ভালো ইনকাম হওয়ায় চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি রাইড শেয়ারিং করা শুরু করি । বেশ ভালো চলতে ছিলাম তবে করোনা এসে সব উলটপালট করে দিয়েছে । এখন পরিবার নিয়ে আমার চলা অনেক কষ্ট হচ্ছে ।
ঢাকার যানজটে দ্রুত ও নিরাপদে যাতায়াতের জন্য অ্যাপভিত্তিক যাত্রীসেবা গত দুই বছরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষণা অনুযায়ী, দেশে অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা দুই হাজার ২০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি করেছে।