মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ১০ হাজার টাকার মধ্যে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
সোমবার (৩১ আগস্ট) জাপানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি উৎপাদন করবে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রগতির মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে কারিগরি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা দেবে জাপান। প্রয়োজনীয় কিছু এক্সেসরিজ আমদানি করা হবে। তবে চেষ্টা থাকবে যেন বেশিরভাগ পার্টসই দেশে তৈরি করা যায়।
গাড়ি নির্মাণ শিল্পের বিনিয়োগ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হবে নাকি পুরোটাই সরকারি উদ্যোগে হবে সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান শিল্পমন্ত্রী।
এ সময় নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন জাপানি রাষ্ট্রদূত।
দুই ক্যাটাগরিতে রেজিস্ট্রেশন:
বর্তমানে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১০ বছর মেয়াদি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে বিআরটিএর তথ্য মতে ৫০ এবং ৮০ সিসির মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৩ হাজার ৯১৩ টাকা। ১০০ সিসির মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯ হাজার ৬৬৩ টাকা। এবং ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি ২১ হাজার ২৭৩ টাকা।
এছাড়া ২ বছর মেয়াদি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৮০ সিসি মোটরসাইকেলের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ৯ হাজার ৩১৩ টাকা। ১০০ সিসি মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ১০ হাজার ৪৬৩ টাকা এবং ১০১ সিসি থেকে ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলে এর ক্ষেত্রে ১২ হাজার ৭৩ টাকা।
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ১০ হাজার টাকার মধ্যে আনা হলে তা অর্ধেকে নেমে আসবে।