দুই দশক ধরে সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাজাজ পালসার। তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয় এই সিরিজ বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। এর অসাধারণ বিল্ড কোয়ালিটি, শক্তিশালী ইঞ্জিন এবং ভালো মাইলেজের জন্য পালসার সব বয়সীদের পছন্দ। এই বাইকে সবাইকেই মানায়।
অনেকেই মনে করেন সেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পালসারের একই ডিজাইন। কিন্তু তারপরও পালসার কেন এত জনপ্রিয়? এর মূল কারণ হচ্ছে বিল্ট কোয়ালিটি। পালসারের বিল্ট কোয়ালিটি অন্যান্য বাইকের তুলনায় ভালো। এছাড়াও পালসার ডিজাইনেও অনবদ্য। পালসার এমন এক মোটরসাইকেল যেটাতে সবাইকেই মানায়। ছেলে-বুড়ো থেকে শুরু করে সব বয়সীদেরই মানায় পালসারে।
বাজাজ দাবি করে পালসার স্পোর্টস বাইক। কিন্তু আদতে এটি কমিউটার বাইক। তাই এর মাইলেজ বেশ ভালো। ভালো মালাইজের কারণেও অনেকে পালসার কেনেন।
বাজারের অন্যসব বাইকের তুলনায় পালসারের রিসেল ভ্যালু বেশি। কয়েক বছর চালিয়েও ভালো দামে পালসার বিক্রি করা যায়।
পালসারের জনপ্রিয়তার উল্লেখ্যযোগ্য আরেকটি কারণ হচ্ছে পালসারের খুচরা যন্ত্রাংশের দাম খুবই কম। আর সব জায়গায়ই পালসারের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়।
বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি মডেলের পালসার বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬০ সিসির দুইটি মডেল এবং ১৫০ সিসির তিনটি মডেল রয়েছে। ১৬০ সিসিতে আছে পালসার এনএস ১৬০ এফআইএবিএস। এই মডেলের দাম ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা। এছাড়াও ১৬০ সিসিতে পাওয়া যাচ্ছে পালসার এনএস ১৬০ টুইন ডিস্ক এবিএস কার্বুরেটর ভার্সন। এর দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা।
১৫০ সিসিতে এগিয়ে আছে পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক ভার্সন। এর দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯০০ টাকা। একই মডেলের সিঙ্গেল ডিস্ক ভার্সনের দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯০০ টাকা।
এছাড়াও সাশ্রয়ী দামে বাংলাদেশে পালসারের আরেকটি মডেল পাওয়া যাচ্ছে। ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা দামের ওই মডেলটি হচ্ছে বাজাজ পালসার ১৫০ নিওন।
বাংলাদেশে পালসারের জনপ্রিয় ভার্সন ১৫০ টুইন ডিস্ক বা টিডি। এই ভার্সনটিতে কিকার নেই। নেই চেইন কভার। মিটার কনসোলেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। মিটারের ব্যাকগ্রাউন্ড কালারে দেয়া হয়েছে ব্লু টোন। ক্লিপ অন হ্যান্ডেলবারেও আনা হয়েছে নতুন ডিজাইন। এর সামনের সাসপেনশন আগের চেয়ে মোটা করা হয়েছে। সিট দেয়া হয়েছে স্প্লিট। গ্রাব রেইলেও আছে স্টাইলের ছোয়া।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের বাজারে আসে ১৫০ সিসির পালসারের টুইন ডিস্ক ভার্সন। পালসার ১৮০ সিসির মডেল থেকে চেসিস এবং ডিজাইন এনেছে ১৫০ টুইন ডিস্কে। সিঙ্গেল ডিস্ক ভার্সন ও ডাবল ডিস্ক ভার্সনের ব্রেকিং সিস্টেমে আকাশ-পাতাল তফাৎ। ইউজি ৫ এর সামনে আছে ১৬০ মিলিমিটারের ফ্রন্ট ডিস্ক। পেছনে ১৬০ মিলিমিটারে ডিস্ক ব্রেক। ব্রেকিং সিস্টেমে এগিয়ে আছে ডাবল ডিস্ক ভার্সন।
ডাবল ডিস্ক ভার্সনের পালসার অনেকেটাই মাসকুলার। এর ইঞ্জিনের নিচের অংশে কাউল যুক্ত হয়েছে। যা দেখতে অনেকেই আকর্ষণীয়। বাইকটি ওজন ১৪৪ কেজি।
বাংলাদেশে বাজাজের অনুমোদিত ডিলার উত্তরা মোর্টস লিমিটেড।