খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাটের আঁশ দিয়ে তৈরি করেছেন রেসিং কার। ফর্মুলা ওয়ান কারের আদলে তৈরি এ রেসিং কারটির নাম দিয়েছেন “কিলোফ্লাইট আলফা”।
৩ বছরের চেষ্টায় তৈরি এ গাড়িটির বডিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ পরিবেশবান্ধব পাট দিয়ে তৈরি।সম্প্রতি “ফর্মুলা স্টুডেন্ট” নামে যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এ রেসিং কারটি।
কুয়েট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অম্লান বিশ্বাস বলেন, “গাড়িটি মূলত ‘ফর্মুলা স্টুডেন্ট ইউকে’ নামক যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিযোগিতার উদ্দেশে বানানো। সম্পূর্ণ বডি জুট ফাইবার দিয়ে তৈরি গাড়িটিতে উন্নত ইঞ্জিন, গিয়ার, ব্রেক, মিটার রয়েছে। চালকের জন্য রয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থা। গাড়িটি ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম।”
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের রেডজোনে থাকার কারণে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ কিছু দেশ অনলাইন ইভেন্টে অংশ নেয়। ৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী কুয়েট ৩৩তম স্থান লাভ করেছে।”
কুয়েট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট তৃতীয় বর্ষের সাফায়েত সাইমুম বলেন, “২০১৮ সালে সৃষ্টি হয় ‘টিম কিলোফ্লাইট’। এ বছরের জুলাই মাসে গাড়িটি তৈরি শেষ হয়।”
কিলোফ্লাইট টিমের অধিনায়ক এরফান ইসলাম বলেন, “কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও নিজেদের অর্থায়নে এই রেসিং কারটি প্রস্তুত করা হয়েছে। যা অটোমোবাইলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার তৈরির একটি উদ্যোগ। গাড়িটি পরিবেশবান্ধব পাট দিয়ে বানানো। এর বডি অ্যারো জুট ফাইবার কম্পোজিট দিয়ে প্রস্তুত।”
কুয়েট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম বলেন, “ফর্মুলা স্টুডেন্টে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রথম অংশগ্রহণ করি। আগামীতে আরও ভালো করার প্রচেষ্টা থাকবে।”
কুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার ড. মুহাম্মদ মাছুদ বলেন, “আড়াই বছরের এ প্রজেক্টের শুরু থেকেই তিনি একাডেমিক অ্যাডভাইজার হিসেবে ছিলেন। ২৮ জনের টিমকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপর তারা নিজেরাই ডিজাইন করে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে এবং শিক্ষকদের সহযোগিতায় কাজটি সম্পন্ন করে।”