বাইকের জগতে বর্তমানে জনপ্রিয় নাম কাওয়াসাকি। জাপানি বাইক কোম্পানি হোন্ডা, সুজুকি ও ইয়ামাহার পরে কাওয়াসাকি এখন রয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এর নতুন নতুন ফিচার বাইকপ্রেমীদের তৃষ্ণা মিটিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে কাওয়াসাকি মোটরসাইকেল স্পোর্টস বাইক সেগমেন্টেও এক অন্যতম নাম।
সম্প্রতি জাপানের এই জনপ্রিয় টু-হুইলার প্রস্তুতকারী সংস্থাটি ঘোষণা দিয়েছে কাওয়াসাকিকে বৈদ্যুতিক জগতে নেওয়ার। যদিও বাইকের জগতে এটি নতুন কিছু নয়। তবে ধরে নেওয়া যায়, আগামী দিনে বিশ্বে পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠবে বৈদ্যুতিক যানবাহন। তাই এখন থেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ির উন্নয়ন ও তৈরিতে জোর দিচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। গতির জন্য বিখ্যাত কাওয়াসাকিও পিছিয়ে নেই সেই তালিকা থেকে।
কাওয়াসাকি হার্ডকোর প্রযুক্তিগত তথ্যের পথে খুব বেশি নামেনি। তবে নিশ্চয় জানেন এর রয়েছে দুটি ব্যাটারি। সিটের নিচে হাইব্রিড সিস্টেমের জন্য ৪৮ ভোল্টের একটি ব্যাটারি এবং ১২ ভোল্টের ব্যাটারি ইঞ্জিন ইলেকট্রনিক্সের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ৩৯৯সিসি, ৪৪বিএইচপি ( নিনজা ৪০০) মডেলের। এটিকে একটি ওয়াটার-কোল্ড মোটরে ব্যাকআপ করা হয়েছে। যা দুটি উপায়ে কাজ করতে সক্ষম। একটি ব্যাটারি টপ আপ করার জন্য জেনারেটর হিসেবে কাজ করা, অন্যটি স্বয়ংক্রিয় গিয়ারবক্সের মাধ্যমে পিছনের চাকায় শক্তি সরবরাহ করা।
কাওয়াসাকি ২০৩৫ সাল থেকে পেট্রোলচালিত মোটরসাইকেলের উৎপাদন বন্ধ করে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে আগেই। তবে শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ ইউরোপের কয়েকটি উন্নত দেশগুলোর জন্য তারা বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল উৎপাদন করবে। এরপর ধীরে ধীরে অন্য দেশের বাজারেও বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল যোগান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
২০২৫ সালের মধ্যে কাওয়াসাকি নতুন দশটি মডেলের বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে যাচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাওয়াসাকির কোনো ব্যাটারিচালিত মোটরসাইকেল এখনো দেখা যায়নি রাস্তায়। তাই তো মাত্র চার বছরের মধ্যে কাওয়াসাকি নতুন বৈদ্যুতিক বাইক তৈরি করতে পারবে কি না তা নিয়েও বেশ শঙ্কায় আছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে তাদের পরিকল্পনা মতো, ২০৩৫ সালের মধ্যেই সংস্থাটির সব বাইক হবে বৈদ্যুতিক। যা বাইকের জগতে এক নতুন লক্ষ্যমাত্রা যোগ করবে বলেও মনে করছেন অনেকে।