স্মার্টফোনের জগতে বেশ প্রতিষ্ঠিত নাম রিয়েলমি। তাদের নতুন নতুন ফিচারযুক্ত স্মার্টফোন গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম অনেকটাই। যা বর্তমান বাজারে তাদের অবস্থান থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায়। রিয়েলমি স্মার্টফোনের পর এবার বাজারে আনতে যাচ্ছে বৈদ্যুতিক স্কুটার।
প্রথমে ভারতের বাজারে এই স্কুটার পাওয়া যাবে। স্মার্টফোনের পাশাপাশি স্মার্টওয়াচ, পাওয়ারব্যাঙ্ক, ইয়ারবাডস, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ও ইয়ারফোনের বাজারেও রিয়েলমির পোক্ত অবস্থান। সেই ধারাবাহিকতায় এবার অটোমোবাইলের জগতে পা দিতে যাচ্ছে রিয়েলমি, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি রিয়েলমির EV বা ইলেকট্রিক ভেহিকেল ট্রেডমার্ককে ঘিরেই তৈরি হয়েছে এমন জল্পনা কল্পনা।
রাশলেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্বে অ্যাপল, শাওমি, অপ্পো, হুয়াইয়ে-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো অটোমোবাইল বাজারে প্রবেশ করেছে। শাওমি এরইমধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। সুতরাং রিয়েলমির জন্য যে এই বাজার বেশ প্রতিযোগিতার হবে তা বোঝাই যাচ্ছে।
রাশলেনের প্রতিবদনে আরও জানিয়েছে, ভারতে স্থল, জল, বা আকাশপথে চলতে পারে এমন যানবাহন বিভাগে সংস্থাটির ব্র্যান্ড নাম ‘রিয়েলমি’ নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৮-এর অক্টোবরে ট্রেডমার্কটির আবেদন করেছিল রিয়েলমির অভিভাবক সংস্থা রিয়েলমি মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনস (শেনঝেন) কোম্পানি লিমিটেড। এটা রিয়েলমির প্রথম স্মার্টফোন লঞ্চ করার ঠিক চার মাস পরেই ট্রেডমার্ক ফাইলিং করা হয়।
রিয়েলমির মালিক সংস্থা বিবিকে ইলেকট্রনিক্স-এর অবস্থা চীনে। সারাবিশ্বের মধ্যে যেখানে এখন সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় দু’চাকার বৈদ্যুতিক যান তৈরি হচ্ছে। সুদূর ভবিষ্যতে ভারতেও বিদ্যুৎচালিত মোটরসাইকেল এবং স্কুটারের বড় বাজারে পরিণত হবে বলে মনে করছেন অটো বিশেষজ্ঞরা।
এজন্য বিবিকে তাদের রিয়েলমি ব্র্যান্ডের হাত ধরে ভারতে ইলেকট্রিক টু-হুইলার নিয়ে এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যদিও এ বিষয়ে রিয়েলমি এখনও খোলাখুলি কোনো মন্তব্য করেনি। আবার ট্রেডমার্কের অর্থ এই নয় যে, রিয়েলমি বৈদ্যুতিক বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবেই পা রাখছে। তবে এই সব জল্পনার অবসান ঘটবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই।