কাঠফাটা রোদে জীবন অতিষ্ঠ। ঘরের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। আবহাওয়া ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। বাড়িতে গাড়িতে এসি চালিয়েও গরমের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। আবার খরচের দিকটাও ভাবতে হচ্ছে।
তবে এসি না চালিয়েও গাড়ির ভেতরটা ঠান্ডা রাখতে পারবেন। এজন্য জানা দরকার কয়েকটি কৌশল। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব-
>> ইঞ্জিন কুল্যান্ট বদলে ফেলুন। অপর্যাপ্ত কুল্যান্ট থাকলে গাড়ির ইঞ্জিন রেডিয়েটর গরম হয়ে যেতে পারে। গাড়ির বনেট থেকে বেরোতে পারে ধোঁয়া। ইঞ্জিন গরম হলে গাড়ির কেবিনও উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তাই গ্রীষ্মকালে ইঞ্জিন কুল্যান্ট চেক করুন। প্রয়োজনে সেটি বদলে নিন। বলা হয়, গাড়ির বয়স ৩ বছরের বেশি হলে কুল্যান্ট বদলানো জরুরি। এই কাজটি করার সময় কোনো লিক রয়েছে কি না তাও যাচাই করুন।
>> এসি ফিল্টার পরিষ্কার করুন। এসি ইউনিট সুরক্ষিত রাখার জন্য কম্প্রেসার অয়েল নিয়মিত টপ আপ করে নিন। প্রয়োজনে দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।
>> গাড়িতে ভালো মানের পলিশ বা ওয়াক্সিং ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই ধরনের পেইন্টে সূর্যের তাপ প্রতিফলিত হয়। এতে থাকে এক ধরনের মোমের স্তর। যা গাড়িকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
>> ছায়ায় গাড়ি পার্ক করুন। কিংবা এমন জায়গায় গাড়ি পার্ক করার চেষ্টা করুন যেখানে সূর্যের আলো সরাসরি আপনার গাড়ির উপর না পড়ে। এর পাশাপাশি গাড়ির কেবিন যাতে ঠান্ডা থাকে তার জন্য গাড়ির জানালাগুলিকে কিছুটা নিচে রাখুন। এর ফলে কেবিনের মধ্য দিয়ে হাওয়া যাতায়াত করতে পারবে এবং ভেতরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
>> গাড়ির টায়ারের প্রেশার চেক করুন। অনেকেই গাড়ির অন্যান্য বিষয়ে মানুষ যতটা যত্নশীল ঠিক ততই উদাসীন গাড়ির টায়ার নিয়ে। টায়ার প্রেশার মনিটর না করলে গাড়ির তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সবচেয়ে জরুরি অত্যধিক তাপের ফলে ফাটতে পারে চাকা। এবড়ো খেবড়ো রাস্তার নরম রাবার ক্ষতি হতে পারে। তাই গ্রীষ্মকালে গাড়ির টায়ার মনিটরিং সিস্টেম ঠিক রাখা জরুরি।
>> নিয়মিত গাড়ি পরিষ্কার করুন পানি দিয়ে। এতে একদিকে যেমন গাড়ির বাহ্যিক সুন্দর চকচকে থাকবে তেমনি ভেতরেও থাকবে ঠান্ডা।
>> ইউভি প্রতিরক্ষামূলক উইন্ডো টিন্টস ব্যবহার করতে পারেন। উইন্ডো টিন্ট ৯৯.৯ শতাংশ ইউভি রশ্মি প্রতিফলিত করতে পারে।