১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মোটরসাইকেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হোন্ডা মোটোকমপ্যাক্ট টু স্ট্রোক বাইক বিক্রি করত। ওই সময় এতে পাওয়ারের জন্য ছিল একটি ৪৯ সিসি এয়ার কুলড, টু স্ট্রোক ইঞ্জিন, যা ২.৪ ব্রেকিং হর্স পাওয়ার শক্তি উৎপাদন করত। তখন মোটোকমপ্যাক্ট ৫০০০ থেকে ৪৫০০ রোটেশন পার মিনিটে ৩.৭২ নিউটন মিটার পিক টর্ক আউটপুট দিতে পারত।
সম্প্রতি হোন্ডা ফোল্ডেবল মোটোকমপ্যাক্ট নামের একটি ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘ফার্স্ট অ্যান্ড লাস্ট মাইল’ সল্যুশন। ই-স্কুটারের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তা ফোল্ডেবল; অর্থাৎ আপনি যেকোনো জায়গায় স্যুটকেসের মতো এই বিদ্যুৎ-চালিত স্কুটারকে ভাঁজ করে নিয়ে যেতে পারবেন। মডার্ন অল-ইলেকট্রিক নতুন এই মডেল গ্লোবাল মার্কেটের হোন্ডা ও আকুরা ডিলারদের কাছ থেকে কেনা যাবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর দাম প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
পাওয়ারিংয়ের জন্য হোন্ডার নতুন এই ই-স্কুটারে ব্যবহার করা হয়েছে পারমানেন্ট ডাইরেক্ট ড্রাইভ ইলেকট্রিক মোটর। এটি সামনের চাকার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ই-স্কুটারের সর্বাধিক পাওয়ার আউটপুট ৪৯০ ওয়াট এবং এটি ১৬ নিউটন মিটার পিক টর্ক দিতে পারে।
ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৬.৮ এএইচ। একটি ১১০ ভোল্টের চার্জার ব্যবহার করে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই এটি সম্পূর্ণভাবে চার্জ করা যাবে। স্কুটারটি ডিজাইন করা হয়েছে লাস্ট-মাইল মোবিলিটির জন্য। সে কারণে এর রেঞ্জ লিমিটেড। এই ই-স্কুটার ১৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে এক চার্জে। এর হুইলবেসের পরিমাপ ৭৪১ ও সিটের উচ্চতা ৬২২ মিলিমিটার। স্কুটারটির ওজন ১৯ কেজি; অর্থাৎ খুব একটা হালকা না হলেও তা সহজে বহনযোগ্য। প্রকৃত অর্থেই একটি কমপ্যাক্ট ইলেকট্রিক স্কুটার। খুব সহজে আপনি এতে চড়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।