যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈদ্যুতিক আকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আর্চার এভিয়েশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস চালু করা হবে। দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো ভারতের যানজটে আক্রান্ত মহানগরীগুলোতে এই এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস জনপ্রিয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন দিল্লির মতো বড় শহরগুলো ব্যাপক বায়ুজনিত পরিবেশ দূষণের শিকার। সেক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস দূষণ কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য ভারতের আকাশে এই বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস চালুর আগে দেশটির কর্তৃপক্ষের থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ভারতের সড়কে থাকা প্রচলিত ট্যাক্সি সার্ভিসের তুলনায় এই বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস সাশ্রয়ী হবে বলে জানিয়েছে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের মতো এভিয়েশন জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত আর্চার এভিয়েশন মূলত ‘ইলেক্ট্রিক ভার্টিক্যাল টেকঅফ অ্যান্ড ল্যান্ডি’ (ইভিটোল) জাতীয় আকাশযান নির্মাণ করে থাকে।
বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ নগরীগুলোতে ভবিষ্যতে এই ধরনের আকাশ যান নগরবাসীর প্রাত্যহিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বাহনের স্থান দখল করে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্চার এভিয়েশন এরই মধ্যে ‘মিডনাইট ই’ নামে একটি এয়ার টেক্সি তৈরি করেছে। আকাশযানটি চারজন যাত্রী ও একজন পাইলট নিয়ে একশ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লি, বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই ও তথ্যপ্রযুক্তির রাজধানী বেঙ্গালুরুতে আপাতত এই ধরনের দুইশ আকাশ যান নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পারে ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজের এই এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস।
উদ্যোক্তাদের মতে দিল্লিতে একটি গন্তব্যে পৌঁছাতে একটি গাড়ির যেখানে লাগে দেড়ঘণ্টা, সেখানে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে তাদের এয়ার ট্যাক্সির সময় লাগবে মাত্র সাত মিনিট।
শুধু যাত্রী পরিবহনই নয় ইন্টারগ্লোব এন্টারপ্রাইজ কার্গোপরিবহন, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা সহ অন্যান্য পরিষেবাতেও এই বৈদ্যুতিক আকাশযান ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে খুব শিগগিরই এই বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে বলে গত অক্টোবর মাসে জানিয়েছিলো আর্চার এভিয়েশন।