দেশের শিক্ষার্থীদের সহজশর্তে কিস্তিতে ফোর–জি স্মার্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্যামসাং বাংলাদেশ। ৬–১২ মাসের কিস্তিতে স্যামসাং স্মার্টফোন কিনতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে চাকরিজীবী তরুণ–তরুণীরাও একই সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশে স্যামসাং স্মার্টফোন উৎপাদনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজ শনিবার ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব এ ঘোষণা দেন।
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, তরুণদের কাছে স্মার্টফোন সহজলভ্য করার জন্য স্যামসাং বাংলাদেশ ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স যৌথভাবে সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সুবিধাটি চালু হবে। কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার প্রক্রিয়াটি হবে সহজ।
নরসিংদীতে গত বছর স্যামসাংয়ের ফোর–জি স্মার্ট উৎপাদন শুরু করে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। এতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স। কারখানাটিতে ১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী। এ ছাড়া ৫০ জন দক্ষ প্রকৌশলীর পাশাপাশি উৎপাদনের সব পর্যায় তদারকি করেন স্যামসাংয়ের নিজস্ব প্রকৌশলীরা। বর্তমানে ফেয়ার ইলেকট্রনিকস স্যামসাংয়ের সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকার স্মার্টফোন উৎপাদন করছে। তার মধ্যে আছে গ্যালাক্সি এম সিরিজ ও গ্যালাক্সি এ সিরিজের প্রায় সব স্মার্টফোন।
দেশে গত এক বছরে স্যামসাংয়ের ১৫ লাখ ফোর–জি স্মার্টফোন উৎপাদন করেছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স। আগামী বছর সেটি ২৫ লাখে দাঁড়াবে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগামী এক–দুই মাসের মধ্যেই আমরা স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন (যেমন: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস সিরিজ) উৎপাদন করব। এ ছাড়া খুব শিগগিরই ট্যাব উৎপাদন শুরু হবে।’ প্রতিষ্ঠানটি আগামী বছর স্যামসাং স্মার্টফোনের মাদার বোর্ড উৎপাদনে যাবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার স্যাংওয়ান ইয়ুন, জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইচ ডি লি, মহাব্যবস্থাপক বোমিন কিম, বিপণন বিভাগের প্রধান আশিক হাসান প্রমুখ।