প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে ব্যবসায়ের গতি প্রকৃতি পাল্টে দিচ্ছে ই-কর্মাস। নিজস্ব পণ্য বিক্রির পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের বিকশিত করছে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশীয় মার্কেটপ্লেসে বিপণন কার্যক্রম চালাচ্ছে নোকিয়া, স্যামসাং ও হুয়াওয়ের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট অনলাইন কেনাকাটায় যুক্ত করছে প্রান্তিক জনগণকে। পণ্যের মান এবং সময়মতো ডেলিভারি নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতির বড় চালিকাশক্তি হবে ই-কমার্স।
ভার্চুয়াল জগতে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সময়ের ব্যবসা-বাণিজ্য। নিজস্ব অনলাইন সাইটে পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। তবে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় ঝামেলায় পড়েন পণ্য ডেলিভারি দিতে গিয়ে। তরুণ উদ্যোক্তাদের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসছে ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলো। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিজেদের মার্কেট প্লেসে পণ্য বিপণনের সুযোগ দিচ্ছে তারা।
২০১৬ সালে রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় শেভিং আইটেম বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা আরিয়ান আহমেদ জানালেন, পণ্য বিপণনে তাকে সহযোগিতা করছে কয়েকটি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান।
ব্যবসায়ী আরিয়ান আহমেদ বলেন, ২৪ ঘণ্টাই আমরা কল সেন্টার ব্যবহার করছি। এখন প্রতিদিন ১ হাজারেরও বেশি পণ্যের অর্ডার পাই।
শুধু তাই নয়; বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেতাদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে দেশীয় মার্কেট প্লেসগুলো।
এইচ এম ডি গ্লোবালের হেড অব বিজনেস ফারহান রশিদ বলেন, অনেক কনজ্যুমার কিন্ত অনলাইন প্লাটফ্রম ব্যবহার করছে। তারা যখন জানতে চায় যে নোকিয়া ২০২ কখন লঞ্চ হবে। এই প্লাটফরম থেকে লয়েল কাস্টমারদেরকে পিক করেই পণ্যে লঞ্চ করছি।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছে, বর্তমানে দেশি-বিদেশি ১৫-২০ হাজার প্রতিষ্ঠান পণ্য বিক্রির জন্য অনলাইন মার্কেট প্লেস ব্যবহার করছেন।
দারাজ ডট কম ডট বিডি চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, ঢাকা বাইরের থেকে ৭০ ভাগেরও বেশি অর্ডার পাচ্ছি। যখন ইউনিয়ন পর্যায়ের থেকে পণ্যে অর্ডার বেড়ে যাবে। যখন পোস্ট অফিসের যে ই কর্মাসের যুক্ত হবে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাধিক ই-কর্মাস ওয়েবসাইট রয়েছে। এছাড়াও কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠান ফেসবুকে ব্যবসা পরিচালনা করছে।