বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুসরণ করে সাধারণ মানুষ এখন সামাজিক দূরত্ব অনুশীলনের জন্য তাদের প্রতিদিনের রুটিনগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জাতীয় এই সঙ্কটের মাঝে ভোক্তাদের ক্রমাগত সুবিধা সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ। স্টে সেফ, লেট আস ডেলিভার (নিরাপদে থাকুন, ডেলিভারি আমরাই করছি) – এই মূলমন্ত্রে দেশের সংকটপূর্ণ অবস্থায় গ্রাহকরা যাতে সহজেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন- চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সাবান, স্যানিটাইজার, চিনি, চা, ইত্যাদি আনলাইনে কিনতে পারেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠাটি এবং স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তা ডেলিভারিও করছে।
এ অবস্থায় দারাজ ডেলিভারি এজেন্টদের সর্বদা মাস্ক এবং গ্লাভস পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকের দোরগোড়ায় প্যাকেজটিকে জীবাণু মুক্ত করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে প্রতিষ্ঠাটি। শুধু তাই নয়, কর্মীদের নিরাপত্তার জন্যও ব্যবস্থাও নিয়েছে দারাজ। দারাজের ওয়্যারহাউজ, হাব ও অফিসে সহকর্মীদের থেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে এবং ঘন ঘন পুরোপুরি ভালোভাবে হাত ধুতে বলা হয়েছে সাথে প্রতিটি ফ্লোরের প্রবেশ গেইটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিসপেন্সারও রাখা হয়েছে । ঠিক একই ভাবে সমস্ত কর্মচারীদের এবং লজিস্টিক দলের সকল সদস্যের শারীরিক তাপমাত্রা ফোরহেড থার্মোমিটারের সাহায্যে দিনে কয়েকবার করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও, কর্মকর্তাদের সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানটি ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি বসে কাজ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
“এই উপলক্ষে দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন- ‘আমাদের প্রিয় কর্মচারী, ডেলিভারি এজেন্ট এবং গ্রাহকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের প্রাধান দায়িত্ব। আমরা যে কোনও মুহুর্তে আমাদের গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করতে প্রস্তুত। একই সাথে সংক্রমণের বিস্তার রোধে সহায়তা করা আমাদের সামাজিক কর্তব্য আর তাই আমাদের কর্মস্থলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কঠোর দিকনির্দেশনা বজায়ে রাখতেও আমরা বদ্ধপরিকর।”