জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ই-ক্যাব সদস্যদের ডেলিভারে কাজে বাইসাইকেল, মোটর বাইক এবং কাভার্ডভ্যান চলাচলে লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেড কোয়াটার্স থেকে পাঠানো এক পত্রে এই অনুমতির কথা ই-ক্যাবকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেও যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সেবা ও ঔষধ ডেলিভার করছে তাদের চলাচলের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়। ডেলিভারী সেবাদানকারী কর্মীরা সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার পরও আইন শংখলা রক্ষাকারীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে লিখিত অনুমতি চায় ই-ক্যাব।
ই-ক্যাবের সেক্রেটারী জেনারেল, মোহম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা শুরু থেকে এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছি। নিজ নিজ বাসায় থাকা জনসাধারণ যেন ঘর থেকে বের হতে না হয় তাদের জন্য জরুরি সেবা চালু রাখতে ই-ক্যাব সদস্য কোম্পানীগুলো অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমরা ডিএমপি কমিশনারকে ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারের অনুমতির পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা একটা অনুমতিপত্র পেয়েছি যাতে সারা দেশে জরুরি সেবা চলমান রাখা যায়। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে যে পরিপত্র জারি হয়েছে তার ভিত্তিতে আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা অংশ তাদের সেবা অব্যাহত রেখেছিল। এখন ডিএমপি কমিশনারের এই অনুমতির মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ের সমস্যাও কেটে যাবে আশা করি।
সকল সদস্যকে ই-মেইলের মাধ্যমে ডিএমপির অনুমতির কপি প্রেরণ করা হয়েছে। যেহেতু ডিএমপির অনুমতি পত্রে ই-ক্যাবের সদস্যদের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেজন্য ই-ক্যাব অফিস থেকে সদস্যদের একটি প্রত্যয়নপত্র ও স্টিকার দেওয়া হচ্ছে। এই দূর্যোগে জনগণের পাশে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ঔষধ ডেলিভারী কাজে ইক্যাবের শতাধিক সদস্য কোম্পানী ও তাদের প্রায় ২ হাজার কর্মী প্রতিদিন ৪০ হাজারের মতো পরিবারের কাছে তাদের ক্রয়কৃত জরুরি পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। প্রচুর চাহিদা থাকলেও ডেলিভারী কর্মীর অভাবে তারা এই সেবার পরিসর বাড়াতে পারছেন না। ডিএমপির অনুমতির মাধ্যমে অন্তত একটি বাঁধা অপসারিত হয়েছে। এবার হয়তো এই সেবার পরিধি বৃদ্ধি করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ই-ক্যাব এর ডিরেক্টর আসিফ আহসাফ জানান, এই দূর্যোগ পরিস্থিতিতে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী কমিটি, ই-ক্যাব মেম্বার কোম্পানী, ইক্যাব দপ্তর আমরা সবাই একজোট হয়ে কাজ করছি। এই সংকট সময়ে আমাদের দেশের মানুষের পাশে থাকতে এবং দেশব্যাপী নিত্য প্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন সচল রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে হতদরিদ্র মানুষদের সাহায্য করার জন্য আমরা মানবসেবা manobsheba.com নামে একটি প্লাটফরম চালু করেছি। আমাদের এই তহবিল থেকে আমরা স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সময়ে মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।