আগামী ৩০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জামদানি ইভেন্ট ঘিরে আয়োজক ও শুভাকাঙ্খীদের মধ্যে রয়েছে উৎসবের আমেজ। ইভেন্ট যত ঘনিয়ে আসছে ফেসবুকে পোস্ট কমেন্ট তত বাড়ছে।
জামদানির প্রচার বাড়াতে নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন ই-কমার্স উদ্যোক্তা মিলে আয়োজন করতেছে “জামদানি ইভেন্ট নারায়ণগঞ্জ”। তারা প্রত্যাশা করে এ ইভেন্ট কে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে প্রচুর কনটেন্ট আপলোড হবে। যা সরাসরি জমদানির প্রচার বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
জামদানি ইভেন্টে প্রধান অতিথি নাহিদা বারিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং বিশেষ অতিথি রেজা মোহাম্মদ গোলাম মাসুম, প্রধান সহকারী কমিশনার (ভূমি) সহ শতাধিক উদ্যোক্তা ও দর্শক অংশ নিবে এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।
চৌদ্দ জন ই-কমার্স নারী উদ্যোক্তা মিলে নিজেদের অর্থায়নে জামদানি ইভেন্টের উদ্যোগ নিয়েছে। ইভেন্ট উদ্যোক্তাদের একজন জান্নাত সুলতানা জানায়, মূল আকর্ষণ হিসেবে গায়ে হলুদের বউ, বিয়ের বউ, ধর্মীয় বউ, বউ ভাতের বউ সহ নানা সাজের জামদানি বউ থাকবে। ইভেন্টে আরও থাকবে সাত জন নারী উদ্যোক্তার পণ্য প্রদর্শনী। মিডিয়া ও ওয়েভ পাটনার হিসেবে থাকবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, টেকজুম ডটটিভি, রাইজিং বিডি ও উদ্যোক্তা বার্তা।
ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ ফেসবুক লাইভে “জামদানি ইভেন্ট নারায়ণগঞ্জ” শুভ কামনা জানিয়েছে। তিনি বলেন, জামদানির জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ। এটি নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী পণ্য। এ জেলা থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে জামদানি। তিনি আরও বলেন, আমি আশাকরি নারায়ণগঞ্জের উদ্যোক্তারা এমন ইভেন্ট প্রতিবছর করবে এবং প্রতি ৩-৪ মাস পর পর ছোট করেও হলেও ইভেন্ট করবে।
ঢাকাইয়া জামদানির জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জের খ্যাতি দীর্ঘদিনের। প্রচার অভাবে ভাটা পড়েছিল বিক্রি ও ব্যবহারে। গতবছর (২০২০) সালে ইন্টারনেটে জামদানি ওয়েভ তোলার পর থেকে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে জামদানির। গত একবছরে ইন্টারনেটে কয়েক হাজার কনটেন্ট আপলোড হয়েছে জামদানির।