শারমিন আক্তার দোলন বাবা মায়ের বড় মেয়ে। কুমিল্লা মর্ডান হাই স্কুলে অধ্যয়নের পর কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে স্নাতক পর্ব করছেন। বন্ধুদের ন্যায় ফেসবুকে সময় নষ্ট না করে প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন ও বেসিক স্কিলস ডেভেলপ করতে নিজের সময় ব্যয় করছেন ডিজিটাল স্কিলস ফর বাংলাদেশ (ডিএসবি) ফেসবুক গ্রুপে।
টিউশন বা পার্ট টাইম চাকরির পিছনে না ঘুরে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন বুনেছেন ই-কমার্সে। ক্যারিয়ারে ই-কমার্স নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে টেকজুম কে শারমিন আক্তার দোলন বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অন্য সকল পেশার চেয়ে ই-কমার্স উর্বর। এছাড়াও যেকোন সময় যেকোন জায়গা থেকে কাজ চালিয়ে নেওয়ার সুযোগ এবং নিজের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুবিধাও ব্যাপক এ সেক্টরে। তাই ”দুহিতা ফ্যাশন” নামক ফেসবকু পেজ দিয়ে উপার্জনের স্বাক্ষর রাখতে চান শারমিন আক্তার দোলন।
আমাদের দেশে যেহেতু বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ই-কমার্স নিয়ে লেখাপড়ার তেমন সুযোগ নেই তাই ডিএসবি গ্রুপ কে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। শারমিন আক্তার দোলনের মতে, ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার পূর্বে জ্ঞান অর্জন করা জরুরী। এরজন্য বাংলা ভাষায় ডিএসবি গ্রুপ ছাড়া দোলনের মনমত আর কোন প্লাটফর্ম সন্ধ্যান মিলেনি।
ক্যারিয়ার জার্নিতে একজন পরামর্শম দাতা বা মেন্টর থাকার গুরুত্ব অপরিসীম। ফেসবুকের অন্য গ্রুপ উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে তেমনি একজন মেন্টরের সন্ধান মিলে এ তরুণীর। তিনি বলেন, উইতে জয়েন হওয়ার পর রাজিব আহমেদ স্যারের পোস্ট গুলো দেশি পণ্যের ই-কমার্সে ক্যারিয়ার গড়ার আগ্রহ দিনে দিনে বাড়িয়ে দেয়। স্যারের পরামর্শে ডিএসবিতে একটিভ হয়ে ই-কার্মস ও আইটির বেসিক জ্ঞান অর্জন করতে থাকি।
ছোট বেলা থেকে শারমিন আক্তার দোলনের স্বপ্ন ছিল ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া। বিভিন্ন কারণে আলো দেয়নি ছোটবেলার স্বপ্ন। বর্তমানে দুহিতা ফ্যাশন কে ঘিরে তার সকল স্বপ্ন। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পর দুহিতা ফ্যাশন শুরু করার নকশা একেছেন। দেশ ও দেশের বাহিরে ছড়িয়ে পড়বে দুহিতা ফ্যাশন এমনটাই স্বপ্ন দেখেন শারমিন আক্তার দোলন।