লকডাউনে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু রাখার আবেদন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলো। আজ রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাঠাও লিমিটেড, ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড, সহজ লিমিটেড এবং দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড যৌথভাবে এক চিঠিতে এ আবেদন করে।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে আবারো কঠোর লকডাউন জারির কথা জানিয়েছে সরকার। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোক্তাদের ঘরে পৌঁছে দিয়ে সংক্রমণ রোধে ভূমিকা রাখতে, ই-কমার্স, ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলো ও হোটেল-রেস্তোরাঁ, গ্রোসারি শপ নিজস্ব ডেলিভার কার্যক্রম সার্বক্ষণিক অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সম্ভাব্য সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের ফলে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা ও আসন্ন রমজানে বিক্রি কমে গিয়ে এই খাত সংশ্লিষ্টরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমন পরিস্থিতিতে, জরুরি সেবা হিসেবে হোটেল-রেস্তোরাঁ, গ্রোসারি শপ, এসবের নিজস্ব বা ই-কমার্স বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ডেলিভারি ব্যবস্থা সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের আওতামুক্ত ঘোষণা করা হোক। এ জন্য টেকওয়ে’ভিত্তিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ, মুদিপণ্য বা গ্রোসারি শপ, পণ্যের গুদাম বা ওয়্যারহাউজ ইত্যাদি খোলা রেখে হোম ডেলিভারির করার ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ প্রয়োজন।
এছাড়াও সরকার নির্দেশিত ‘ফুড ও গ্রোসারি’ হোম ডেলিভারি সার্ভিস এসওপি- অনুসরণ ও ডেলিভারি কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে। সেইসঙ্গে জরুরি সেবাদান কাজে নিয়োজিত হোটেল-রেস্তোরাঁ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অনলাইন কর্মীদের করোনার সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্বপালনকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য একান্ত কাম্য। একইসঙ্গে, হোটেল-রেস্তোঁরা ও সংশ্লিষ্ট খাতকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের ও দৈনিক মজুরি নির্ভর কর্মচারী ও অনলাইন ডেলিভারি কর্মীদের খাবার ও অর্থ সহায়তারও দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।