ঈদের আগে গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পাঞ্জাবি পৌঁছাতে না পেরে ডেলিভারি সার্ভিস দেওয়া প্রতিষ্ঠান রেডেক্সকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোম বাস্কেট এর সিইও মিজানুর রহমানের পক্ষে রেডেক্স এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) এই নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশটি পাঠান নিম্ন আদালতের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ থেকে জানা যায়, দুইজন গ্রাহক ঈদ সামনে রেখে হোম বাস্কেটকে দুটি পাঞ্জাবির অর্ডার দেন। হোম বাস্কেট পাঞ্জাবি দুটো ডেলিভারির জন্য রেডেক্সের কাছে হস্তান্তর করে। নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী পণ্য হাতে পাওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা গ্রাহককে ডেলিভারি দেওয়ার কথা ছিল রেডেক্স এর। কিন্তু সেই নিয়ম ভঙ্গ করে একটি পণ্য ১১ দিন ও অপরটি ১৩ দিন পর যথাক্রমে ২০ ও ২৩ মে গ্রাহককে ডেলিভারি দেওয়া হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, ঈদের আগের পণ্য ঈদের পর ডেলিভারি দেওয়ায় দুজন গ্রাহক হোম বাস্কেটকে নিয়ে অনলাইনে নেতিবাচক প্রচারণা চালায়। এতে প্রতিষ্ঠানটির সুনামহানি হয়েছে। এই সুনামহানির কারণে ব্যবসায় ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে হোম বাস্কেট, যার দায় ডেলিভারি সংস্থা রেডেক্স এর।
নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে দুজন গ্রাহকের কাছে ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে ক্ষমা চওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়িক ক্ষতির দরুণ হোস বাস্কেট এর পক্ষ থেকে রেডেক্স এর কাছে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও সুনাম ক্ষুণ্ন করার দায়ে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে বলা হয়েছে।
এইছাড়াও রেডেক্স বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণা অভিয়োগ রয়েছে । আবদুল্লাহ আল হাসিব নামে একজন ভুক্তভোগী জানান রেডেক্স ইত্যাদি কুরিয়ার বর্তমানে প্রচুর হয়রানি করছে: পোডাক্ট ভেঙ্গে ফেলছে, পোডাক্ট হারিয়ে ফেলছে, পোডাক্ট পিক করে ডেলিভারি দিচ্ছে না, ডেলিভারি চার্জ বেশি নিচ্ছে । আর তাদের ডেলিভারিম্যানের ব্যবহার অনেক খারাপ ।
একজন ভুক্তভোগী জানান দীর্ঘ দিন আমার পার্সেল গুলো আটকে রেখে আবার আমাকে ব্যাক করে দিচ্ছে। আমার কাছ থেকে তো টাকা গুলো কেটে নিচ্ছে। প্রত্যেকটা পার্সেল থেকে কোর্ট চার্চ কেটে নিচ্ছেন অথচ তাদেরদের লোক গুলো ফোন রিসিভ করে না । তাদেরদের গাফিলতির কারণে কাস্টমাররা মাল রিটার্ন করে দিচ্ছে। আমাদের ডেলিভারি চার্জ দিতে হচ্ছে প্লাস মাল রয়ে যাচ্ছে প্লাস রিটার্ন টাকা দিতে হবে আমরা তাহলে ব্যবসা করে কি লাভ।
তাছাড়াও রেডেক্স বিরুদ্ধে ই কমার্স ব্যবসায়ীদের টাকা আটকিয়ে দীর্ঘ দিন ঘুরােনাে অভিয়োগ রয়েছে । বেশি কিছু ইকমার্স উদ্যোক্তা জানান, রেডেক্স এর সাথে ব্যবসা করতে তাদের অবস্থা অনেক খারাপ । পোডাক্ট ভেঙ্গে ফেলছে, পোডাক্ট হারিয়ে ফেলছে, পার্সেল গুলো আটকে সময় মত ডেলিভারি না করা আর সেই টা ব্যাক করে দিয়ে চার্চ কেটে রাখা সহচার্চ সহ নানা সমস্যায় তারা জর্জরিত ।
ভুক্তভোগী একজন নারী উদ্যোক্তা জানান, অল্প পুজি নিয়ে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করি বেশ ভালোয় চলছিল কিন্তু রেডেক্স সাথে ব্যবসা শুরু করতেই আমার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে । তারা সঠিক সময় ডেলিভারি না করাতে আমার কাস্টমাররা আমার পার্সেল নেই না । দীর্ঘ দিন ডেলিভারি না হওয়ার করনে এই সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়েছে।