তরুণ উদ্যোক্তা মো. সজীব। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দুরুইল গ্রামে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হলেও বর্তমানে ঢাকার একটি স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি। শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরারস এসোসিয়েশনের ডিরেক্টর অব ফরেইন এফেইয়ার্স হিসেবে দায়িত্বে আছেন তিনি।
সজীব নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ঢাকায় পা রাখেন। স্বপ্ন পূরণের ধারাবাহিকতায় গড়ে তুলেছেন ‘ট্রাভেলস কেয়ার’ নামে একটি যুগোপযোগী ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান। শূন্য হাতে স্বপ্নকে পূঁজি করে এগিয়েছেন নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে। বিভিন্ন ট্রাভেলস কোম্পানিতে চাকরির মধ্য দিয়ে শুরু করেন পথচলা। কয়েক বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ‘ট্রাভেলস কেয়ার’ নামে একটি ট্রাভেলস কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। একটু একটু করে স্বপ্নের বাস্তবতা গড়ে উঠতে থাকে। ২-৩ বছরের কঠোর পরিশ্রমের বিনিময়ে স্বপ্ন আসতে শুরু করে হাতের মুঠোয়।
বর্তমানে ট্রাভেলস কেয়ার এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, ভিসা সার্ভিস, ট্যুর প্যাকেজ এবং হজ্ব উমরাহসহ নানাবিধ সার্ভিস প্রদান করছে। করোনাকালীন সময়ে প্রবাসী এবং ভ্রমণ পিয়াসুদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশ-বিদেশের হোটেলে কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থ্যাও করা হচ্ছে সল্প খরচে। এছাড়াও সল্প মূল্যে দেশ-বিদেশের বিমানের টিকিটসহ ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল বিষয় নিয়ে কাজ করছে ট্রাভেলস কেয়ার।
সজিব বলেন, `আধুনিক বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আধুনিক বিশ্বাসযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ট্রাভেলস কেয়ারকে গড়তে চাই। পাশাপাশি দেশের ট্যুরিজম সেক্টরকে সমৃদ্ধ করার অংশ হতে চাই। আমরা এই ট্যুরিজম খাতে দেশের এবং দেশের মানুষদের জন্য কিছু করতে পারি সেই দিক মাথায় রেখে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। সেই লক্ষ্যে ট্রাভেলস কেয়ার করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতেও প্রবাসীদের জন্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, `দেশের শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি নানাবিধ পরিকল্পনাও রয়েছে। ভবিষ্যতে দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কীভাবে আকৃষ্ট করা যায় এবং কীভাবে তার গতি বাড়ানো যায় এই বিষয়ে পরিকল্পনা করছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রোগ্রামে বাংলাদেশের এই ট্যুরিজম সেক্টরের সুনাম তুলে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি, এদেশের তরুণদের নিয়ে ট্রাভেল সেক্টরে ভাল কিছু করা সম্ভব, যদি তাদের কাছে এই বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায়।’
লেখকঃ গনমাধ্যমকর্মী