সম্পদ ও দায়ের বিস্তর ফারাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাণিজ্যমন্ত্রণালয়, ইক্যাবের দফায় দফায় সভাশেষে ৪ জুলাই জারি হয় ডিজিটাল কমার্স পরিচলানা নির্দেশিকা। তবে গত দেড় মাসেও যে ওই সব প্রতিষ্ঠান নীতিমালার আওতায় আসেনি তার প্রমাণ মিলছে একের পর এক। ধামাকার এমডি জসীম উদ্দীন চিশতি বড় অংকের অর্থ পাচার করে পাড়ি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সোমবার (১৬ আগস্ট)ই-অরেঞ্জ নামের আরেক ইকমার্স প্রতিষ্ঠানের গুলশান অফিসের সামনে ক্রেতারা বিক্ষোভ করেন। তাদের অভিযোগ, বাজারের চেয়ে অনেক কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য অনেক পণ্যের বিপরীতে প্রায় শত শত কোটি টাকার অর্ডার নেওয়ার পর ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মকর্তারা লাপাত্তা। তাই বিনিয়োগ করে এখন তাদের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়।
বারবার ডেলিভারির তারিখ পরিবর্তন করলেও ই-অরেঞ্জ কোনো ক্রেতাকেই পণ্য বুঝিয়ে দেয়নি। এমনকি যাদের হাতে ডাবল টাকা ভাউচার আছে সেগুলোও কোনো কাজে আসছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এবিষয়ে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশের ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ বলেন, ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা কার্যকরের পর ভাউচার বিক্রি করা বড় অনিয়ম, নির্দেশিকার ভায়োলেন্স। যখন জানতে পারলাম তাদের অনেক পুরানো অর্ডারের বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না। তখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি ই-অরেঞ্জে যে মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে তা সঠিক সময়ে ইক্যাবকে জানায়নি। ১৮ জুলাই তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায়নি, যে কতদিনের মধ্যে অর্ডার ডেলিভারি করতে পারবে। এখন ই-ক্যাব থেকে ই-অরেঞ্জের সদস্য পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, সংগঠন হিসেবে এটুকুই করতে পারে ই-ক্যাব। পাশাপাশি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কেও জানিয়েছে ই-ক্যাব। ই-ক্যাব গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদের আস্থাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সবার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে বলে জানান আসিফ।