১০টি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানে আলাদা নিরীক্ষা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এই চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়ে নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছে। ১০ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ধামাকা, ই–অরেঞ্জ, সিরাজগঞ্জ শপ, আলাদিনের প্রদীপ, কিউকুম, বুম বুম, আদিয়ান মার্ট, নিড ডটকম ডটবিডি ও আলেশা মার্ট।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই–ভ্যালি ছাড়া অন্য ৯ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক লেনদেন ও আর্থিক তথ্য জানতে চেয়ে গত ২৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বহির্নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা করার জন্য বলা হয়েছে।
অগ্রিম টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ বা অর্থ ফেরত না দেওয়ায় গত আগস্ট মাসে ই–অরেঞ্জের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে মামলা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন।
অন্য আসামি ই–অরেঞ্জের আরেক মালিক বীথি আকতার ওরফে নাজনীন নাহার, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা কাওসার আহমেদ এখনও গ্রেপ্তার হননি।
বীথি আক্তার বনানী থানার সাময়িক বরখাস্ত পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার স্ত্রী। সোনিয়া মেহজাবিন তাঁর আপন বোন। ভিন্ন এক মামলায় শেখ সোহেল রানাও আসামি। পালাতে গিয়ে কয়েক দিন আগে তিনি ভারতে গ্রেপ্তার হন।