হাইকোর্টের নির্দেশনায় গঠিত আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির নতুন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধন করেছে গ্রাহক-মার্চেন্টরা।
তারা বলছেন, ‘নতুন কমিটির কেউ ই-কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের না। ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের অবর্তমানে তারা ব্যবসা চালাতে পারবেন না।’
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ ইভ্যালির অফিসের সামনে ‘ইভ্যালি মার্চেন্ট ও ভক্তবৃন্দের’ ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে গ্রাহক-মার্চেন্টরা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, রাসেল ভাইয়ের হাত ধরে এই ম্যাজিকাল ই-কমার্স সৃষ্টি হয়েছে। আজ ইভ্যালির নতুন কমিটির মিটিং হচ্ছে। আমরা চাই, ইভ্যালির নতুন কমিটির সঙ্গে রাসেল ভাইকে যুক্ত করে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হোক। তাহলে আমরা আমাদের প্রোডাক্ট কিংবা বকেয়া বিল ফিরে পাবো।
তিনি বলেন, যেহেতু নতুন কমিটির কেউ ই-কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের না। আমরা মনে করছি, রাসেল ভাইয়ের অবর্তমানে তারা এই ই-কমার্স চালাতে পারবে না। আমরা চাই, রাসেল ভাইকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হোক। রাসেল ভাইকে ছয়মাস বা এক বছর ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১২টায় ইভ্যালি নিয়ে নতুন কমিটির প্রথম সভা শুরু হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। সেখানে নতুন বোর্ডের পাঁচজন সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর কোম্পানি আদালতে ইভ্যালির অবসায়নে কমিটি গঠনের আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ অক্টোবর ইভ্যালির ব্যবস্থাপনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের বাকি সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।