প্রতারণা এবং গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত ই-কমার্স কোম্পানি ইভ্যালির সার্ভার দেখভাল করে অ্যামাজন। সার্ভারটি বন্ধ থাকায় ৬ কোটি টাকা জমেছে, ফের চালু করতে হলে ওই টাকা পরিশোধ করতে হবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানটিকে। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইভ্যালির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
ইভ্যালির সার্ভার চালু করার চেষ্টা করলে অ্যামাজনের পক্ষ থেকে ৬ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত তিন মাস ধরে সার্ভারটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এ নিতে অ্যামাজনের সঙ্গে দরকষাকষি চলছে। এর বাইরে বিকল্প উপায়েও সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
সার্ভার চালু করার পুরো টাকা ইভ্যালির অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হবে জানিয়ে শামসুদ্দিন মানিক বলেন, সার্ভারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া না গেলে গ্রাহকের বা মালামালের কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না। সে জন্য সার্ভার চালু করাটা খুব জরুরি। এখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইভ্যালির কাছে গ্রাহকদের পাওনার তথ্যও সার্ভার চালুর ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক বিষয়াদি অডিটের মাধ্যমে জানা যাবে। অডিটর নিয়োগ দিলে কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সেগুলো বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তা একত্র করে সম্পত্তির বিষয়ে জানা যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির অফিস, বন্ধ হওয়ার আগে ইভ্যালির অফিস, বন্ধ হওয়ার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া প্রতিবেদনে রাসেল দাবি করেছিলেন, ইভ্যালির সার্ভার এবং ওয়েবসাইটের ‘ব্র্যান্ডভ্যালু’ হাজার কোটি টাকা। সেই সার্ভার আর ওয়েবসাইট এখন বন্ধ হয়ে গেছে। ইভ্যালির ফেসবুক পেইজটিও আর আপডেট হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মানিক বলেছিলেন, ইভ্যালির ওয়েবসাইটটা এখনও খোলা যাচ্ছে না। সার্ভার অ্যামাজনের হাতে। সেখানে অনেক টাকা-পয়সা বাকি পড়ে আছে। এই সার্ভার খুলতে পারলে অনেক তথ্য পাব।