অডিট কমিটির কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে ইভ্যালির ভবন মালিক শেখ সালাউদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আদালত যখনই তাকে ডাকবে, তখনই হাজির হওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
আদালতের তলবে সালাউদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার হাজির হলে তাকে মামলায় পক্ষভুক্ত করে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন বলে জানান আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
এর আগে ইভ্যালির সম্পত্তি অডিট করতো কেপিএনজি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান অডিটের খরচ ধরে ৮৬ লাখ টাকা। এর চেয়ে কম টাকায় অডিট করাতে ইভ্যালি পরিচালনায় গঠিত বোর্ড আবেদন করলে যে কোনো ভালো প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করানো যাবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তার আদেশে সালাউদ্দিনকে ২৪ ফেব্রুয়ারি হাজির হতে নির্দেশ দেন। এছাড়া ওইদিন হাইকোর্ট ইভ্যালির সাবেক এমডি মো. রাসেল তার স্ত্রী সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নামে থাকা কোম্পানির শেয়ারের ৫০ শতাংশ রাসেলের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ভায়রা মামুনুর রশীদের বরাবর হস্তান্তরের অনুমতি দেন।
তবে শেয়ার হস্তান্তর হলে এই তিনজন আদালতের অনুমতি ছাড়া সে শেয়ার আর হস্তান্তর করতে পারবে না এবং শেয়ারের বিষয়ে ইভ্যালি নিয়ে গঠিত বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন বলে আদেশ দেয়া হয়। আর রাসেল ও শামীমা নাসরিন এখন কারাগারে থাকায় তাদের থেকে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইজি প্রিজনকে সহযোগীতা করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তারা দুজন এখন কারাগারে।
ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার দিয়ে অর্থ পরিশোধের পর পণ্য ও অর্থ ফেরত না দেয়ার প্রেক্ষাপটে গ্রাহকের আবেদনে হাইকোর্ট ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় পাঁচ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেন।
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ ইভ্যালির অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারে নানামুখী কার্যক্রম নিয়েছে।