তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন বঙ্গবন্ধুর সকল আন্দোলন, সংগ্রামের নেপথ্যের প্রেরণাদায়ী এবং প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অফুরান প্রেরণার উৎস মহীয়সী নারী ফজিলাতুন ন্নেছা মুজিব। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর কর্মকাণ্ডকে পূর্ণতা দিয়েছেন বেগম মুজিব।
প্রতিমন্ত্রী আজ আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ই-ক্যাব এর সভাপতি শমী কায়সার,উই এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গমাতার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা’ সাদামাটা জীবন যাপন করেন।
নারী উদ্যোক্তাদের ব্যর্থ হওয়ার হার পুরুষদের চেয়ে কম’ মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মায়েরা-মেয়েরা মিতব্যায়ী-সাশ্রয়ী। আমি মনে করি এই উদ্যোক্তাদের দেয়া অনুদান বিফলে যাবে না।
অনুদান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাই শেষ নয়; প্রতিবছর ৮ আগস্ট ১০০০ বঙ্গমাতা অদম্য উদ্যোক্তাকে অনুদান দেয়া হবে।
তিনি বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প পূরণে ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ও সিড মানি দিয়ে সর্বাত্মক কাজ করবে আইসিটি বিভাগ।
উক্ত অনুষ্ঠানে ২৫০ জন নারী উদ্যোক্তার প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে এককালীন অনুদান প্রদান করা হয়। এই উদ্যোগটির সহযোগিতায় কাজ করে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), উইমেন এন্ড ই-কমার্স (উই), আনন্দমেলা এবং উইমেন অন্ট্রপ্রিনিউরস্ অব বাংলাদেশ (ওয়েব)। স্টার্টআপদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান (এসএমই), উদ্যোক্তা, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, উৎসাহ প্রদান এবং তাদের ব্যবসাযকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এই অনুদান প্রদান করা হয়।