ফেসবুকের ডাকা ওয়েভে ২০ হাজার কাবাব বিক্রি করলো উদ্যোক্তারা। খাবারের গ্রুপ টেস্টবিডিতে আয়োজন করা হয়েছিল কাবাব ওয়েভ। এতে দেশ-বিদেশ থেকে স্বতস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছে ক্রেতারা। মাত্র পাঁচ দিনে বিক্রি হলো ২০ হাজার কাবাব।
গত ৩ আগস্ট টেস্টবিডি গ্রুপে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ এক পোস্টে লিখেন, “আমার খুব ইচ্ছা এই গ্রুপে একদিন ১ হাজার কাবাব বিক্রি হোক। জানি না কবে হবে। তবে যে কয়জনের কাবাব খেয়েছি খুব ভালো লেগেছে।” এরপর তিনি একাধিক পোস্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের থেকে পাওয়ার কাবাব বিক্রির আপডেট দিতে থাকেন ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে।
অন্য এক পোস্টে (৫ আগস্ট) রাজিব আহমেদ লিখেন, “কাবাব ওয়েভ শুধু টেস্টিবিডি গ্রুপের জন্য না। এতে যে কোন গ্রুপ অংশ নিতে পারে। আপনাদের গ্রুপেও করতে পারেন।” এই পোস্টের পর কাবাব ওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। শুরুতে কেবল ঢাকায় কেনাবেচা হলেও ওয়েভের দ্বিতীয় দিন থেকে চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, টাঙ্গাইলে, যশোর, নারায়ণগঞ্জ, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া যায় কাবাব বিক্রির খবর।
পাঁচশত এর বেশি ক্রেতা কেনাকাটা করেছে এই ওয়েভে। ৫-৬ জন উদ্যোক্তার প্রত্যেকে ১০০০ পিসের বেশি কাবাব বিক্রির মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
আমেরিকা প্রবাসী শারমিন আরা ও তার টিম নিউইয়র্ক থেকে ক্রেতা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন কাবাব ওয়েভে। তারা সম্মেলিত ভাবে কেনাকানাটা করেছে ৩০০ এর বেশি কাবাব।
ক্রেতাদের একজন ইশরাত চৌধুরী। ওয়েভ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি টেকজুমকে বলেন, দেশি পণ্য ও উদ্যোক্তাদের স্বার্থে মাঝেমধ্যে ওয়েভ তুলেন রাজিব আহমেদ স্যার। তিনি কাবাবের ওয়েভ ঘোষণা দেওয়ায় ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এতে আমি যুক্ত হয়েছে মনের আনন্দে টেস্টবিডি গ্রুপের নিয়মিত ও পরিচিত উদ্যোক্তাদের থেকে কাবাব কেনাকাটা করছি। এসব ক্রেতাদের আমি নিয়মিত কাস্টমার। তবে যারা নতুন ভাবে কাবাব নিয়ে কাজ করছে এবং পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করছে তাদের কাছেও অর্ডার করেছি কাবাব। হরেক রকমের কাবাবের স্বাদ নেওয়ার চিন্তা থেকে ১৫ উদ্যোক্তা থেকে কাবাব অর্ডার করেছি ৩০০ পিসের বেশি।
এলিজা’স ফুড গ্যালারির স্বত্বাধিকারী মোসাদ্দিকা লিজা ফেসবুকে পোস্টে লিখেন, “…এই ওয়েভে আমার বিক্রি মোট ৮০,৪৫০ টাকা। পুরো টাকাই আমি পেয়েছি।”
’শুধুই মিষ্টি’ নামক ফেসবুক গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মিফতাহুল জান্নাত জানান আজ রাত ১১ টায় তিনি টেস্টবিডি গ্রুপে লিখেন, ‘২০ হাজার কাবাব বিক্রি হয়ে গেছে। অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি। কাবাব ওয়েভ সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে।”