ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন শিপনকে ইভ্যালির স্বতন্ত্র পরিচালক (ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর) পদে মনোনীত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে এ পদে মনোননয় দিয়েছে ই-ক্যাব।
ইভ্যালি রোববার মধ্যরাতে নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে আদালতের অনুমতি না থাকায় ইভ্যালির কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
জানা গেছে, সাহাব উদ্দিন শিপন ই-ক্যাবের সহ সভাপতির পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই’র জেনারেল বডি মেম্বার এবং এফবিসিসিআইয়ের ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান।
এদিকে প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর রোববার বিকেলে ইভ্যালির ফেসবুক পেজে মোবাইল বিক্রির একটি অগ্রিম বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ইভ্যালির নতুন শুরুর বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ইভ্যালির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন এবং তার মা ও বোন জামাইকে নতুন পরিচালনা বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বোর্ডের মিটিংয়ে তাদের নতুন পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়।
পরিচালনা পর্ষদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে স্বাধীন পরিচালক হিসেবে রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া নতুন বোর্ডে ই-ক্যাবের একজন প্রতিনিধি থাকবেন। গত ২৪ আগস্ট বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
ইভ্যালি পরিচালনার জন্য গত বছরের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন।
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
বর্তমানে শামীমা নাসরিন জামিনে রয়েছেন। চেক প্রতারণার ৯ মামলায় রাসেল জামিন পেলেও তার বিরুদ্ধে আরো মামলা থাকায় তিনি এখনও কারামুক্ত হননি।