দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তৃনমূল নারীদের স্বাবলম্বী করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক হাজার জন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তাকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে স্পিকার এই আহ্বান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) কর্মসূচি থেকে এই আয়োজন করা হয়। এতে এক হাজার নারী উদ্যোক্তার প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশের আর্থিক, সামাজিক সব উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা থাকতে হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের তৃণমূল নারীদের সাবলম্বী করতে হবে।’
নারী উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কথা জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারীদের উন্নয়ন চান তিনি নারী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। নারী উন্নয়নে যেকোনো কিছু চাইলে প্রধানমন্ত্রীর না করেন না স্বতঃস্ফূর্তভাবে তিনি তা অনুমোদন করে দেন।’
করোনার প্রভাবের মধ্যেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নারীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি ঠিক থাকার যে মিরাকেল তাতে নারীদের ভূমিকা অনেক। তাদের পরিশ্রমের কারণেই দেশের অর্থনীতি ঠিক ছিল।
অনুদানের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ২০১৬ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে আইডিয়া প্রকল্প। স্টার্টআপদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান (এসএমই), উদ্যোক্তা, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, উৎসাহ প্রদান এবং তাদের ব্যবসায়কে ত্বরান্বিত করার নিমিত্ত অনুদান প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে আইডিয়া প্রকল্প।
এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম/অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্ত আবেদনগুলো আইডিয়া প্রকল্প কর্তৃক গঠিত একটি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে এক হাজার উদ্যোক্তা নির্বাচন করা হয়। এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নির্বাচিত এক হাজার জন নারী উদ্যোক্তাকে আইডিয়া প্রকল্প থেকে স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা অনুদান হিসেবে মোট পাঁচ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
আয়োজনটি সফল করতে সহযোগী উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স (উই), আনন্দমেলা, উইমেন অন্ট্রপ্রিনিউরস্ অব বাংলাদেশ (ওয়েব), এসএমই ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) এবং এটুআই এর একশপ।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলমসহ প্রমুখ।