ইভ্যালির ৪ হাজার ১৪১ জন গ্রাহককে দুটি পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে প্রথম ধাপে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এর আগে বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গত ৬ ডিসেম্বর গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু আদালতে মামলা থাকায় এ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ এবং এসএসএলসিওএমএমইআরজেডের মাধ্যমে ইভ্যালি গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওযার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইভ্যালির বর্তমান চেয়ারম্যানকে নিয়ে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালায়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের বৈঠক শেষে আটকে থাকা টাকা ছাড় করা শুরু হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান বলেন, ’আমরা ইভ্যালির কাছ থেকে তালিকাটা পেয়েছি। যাচাই-বাছাইও করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়েকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইভ্যালির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষ—বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট, পাঁচটি গেটওয়ের কর্মকর্তারা এবং ইভ্যালির গ্রাহকদের প্রতিনিধির সঙ্গে মিটিংয়ের পর এ অর্থ ছাড় করার পর প্রথম ধাপে ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ছাড় করা হয়।
আদালতের মাধ্যমে ইভ্যালির নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঁচটি গেটওয়েতে ইভ্যালির ২৫ কোটি টাকা আটকে আছে। এ টাকা ছাড় করার জন্য আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গ্রাহকদের ছাড় করার তালিকা পাঠিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গেটওয়েতে টাকা ছাড় করার জন্য মন্ত্রণালয়ের কী ধরনের অগ্রগতি হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না।’
ইভ্যালি থেকে টাকা ফিরে পেতে যা করতে হবে
গত ৬ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ইভ্যালির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছিল, ইভ্যালি ম্যানেজমেন্ট পুরোনো দেনা শোধের কার্যক্রম খুব শিগগিরই শুরু করতে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘জয় ফেস্ট’ ক্যাম্পেইনের মুনাফার সকল অংশ, পুরোনো দেনা শোধে ব্যবহার করা হবে। প্রাথমিকভাবে যাদের চেক আছে, তাদের দেনাগুলো পরিশোধের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়াও গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকার একটা অংশও এ মাসেই ছাড় করা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, মন্ত্রণালয় হিসেবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির সাডারে ৫০০ কোটি টাকার মতো দেনা রয়েছে।
মোহাম্মদ রাসেল ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেছিলেন। ৫০ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে লোভনীয় ডিসকাউন্টসহ কোম্পানিটি অপারেশনের আড়াই বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখের গ্রাহককে বিক্রয়ে আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।