টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের জিআই নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসক। বুধবার বেলা ১২টায় নিজ কার্যালয়ে হলফনামা স্বাক্ষর করে শিল্পমন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার, শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবুল হাসেম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সঞ্চিতা বিশ্বাস, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) সদস্য প্রতাপ পলাশ ও মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জানা যায়, ২০০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের। এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে টাঙ্গাইলে ইতিহাস ও সংস্কৃতি। ধলেশ্বরী নদীর অববাহিকায় পোড়াবাড়ি গ্রামে দশরথ গৌড়ের হাতে চমচমের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। পোড়াবাড়ির পানি, চারণভূমির বিচরণ করা গরুর খাঁটি দুধের কারণে স্বাদ ও মানের কারণে হয়েছে অনন্য। তৎকালীন পোড়াবাড়ির ঘাটের লঞ্চ, স্টিমারের যাত্রীদের মাধ্যমে চমচমের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। একই ধারা বয়ে চলছে যুগযুগ ধরে। পোড়াবাড়ি চমচমের রপ্তানি পথ সুগম করতে এবং দেশ বিদেশে আরও প্রচার বাড়াতে জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, ২০০ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী পোড়াবাড়ির চমচম দেশে-বিদেশে টাঙ্গাইলের ব্র্যান্ডিং শক্তিশালী করেছে। এর সাথে জড়িত আছে জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। অদূর ভবিষ্যতে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম যেন বিদেশেও রপ্তানি হয় এবং দেশ বিদেশে আরও বেশি প্রচার হয় তাই আমরা জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশাকরি শীঘ্রই জিআই স্বীকৃতি মিলবে চমচমের। জেলা ব্র্যান্ডিংকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিনে টাঙ্গাইলের শাড়ি, মধুপুরের আনারস-সহ সম্ভাব্য সকল পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করতে আমরা কাজ করব। চমচমের জিআই ডকুমেন্টেশনে সহযোগিতা করায় আমি ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।