আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের উন্মোচনকে ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ জেগেছে অ্যাপলপ্রেমীদের মধ্যে। সম্প্রতি স্মার্টফোনবিষয়ক তথ্যদাতা টেক রিভের সাম্প্রতিক এক টুইট পোস্টে এ সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এ পোস্টে নতুন আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে বেশকিছু আকর্ষণীয় তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য বলছে, আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স ডিভাইসটিতে আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সের মতো একই ক্যামেরা এবং ডিসপ্লে প্রযুক্তি বহাল থাকবে। খবর গিজমোচায়না।
টেক রিভোর তথ্যানুযায়ী, আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স ডিভাইসে ৪৮ মেগাপিক্সেলের আইএমএক্স৮০৩ ক্যামেরা সেন্সর সংযুক্ত থাকবে। এ ধরনের ক্যামেরা প্রযুক্তি আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স উভয় মডেলে এরই মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।
যারা সনি আইএমএক্স৯০৩ এবং ১ ইঞ্চি সেন্সরের নতুন মূল ক্যামেরার প্রত্যাশা করছিলেন তাদের জন্য এ খবর কিছুটা হতাশার কারণ হতে পারে। এছাড়া আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স বর্তমান প্রজন্মের এম১২ ওএলইডি প্যানেল প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলে মনে হচ্ছে। এ ধরনের ডিসপ্লে প্রযুক্তি পরীক্ষার ভিত্তিতে উন্নত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে ব্যবহারকারীদের এখনই ব্রাইটনেস স্তর বা অন্যান্য উন্নতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রত্যাশা করা উচিত নয়।
গিজমোচায়নার প্রতিবেদন বলছে, নতুন সিরিজের ডিভাইসটিতে ডিসপ্লের আকার সম্ভবত সামান্য ভিন্ন হবে। আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সের তুলনায় আকৃতিগত কিছু পরিবর্তন হবে। নতুন ডিভাইসটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে কিছুটা ছোট আকৃতির হতে পারে। এছাড়া এ ডিভাইসটির সর্বাধিক আলোচিত ফিচারগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘পেরিস্কোপ টেলিফটো ক্যামেরা’, যা প্রো ম্যাক্স ভেরিয়েন্টে একক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ক্যামেরাটি সিক্স-এক্স অপটিক্যাল ম্যাগনিফিকেশন প্রদান করবে। এর ফলে ডিভাইসের জুম ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলবে।
এছাড়া আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে একটি ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট থাকবে, যা অ্যাপলের ঐতিহ্যবাহী লাইটনিং পোর্টের থেকে ভিন্ন। এ পরিবর্তনের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে।
পারফরম্যান্সের দিক থেকে আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সে ‘অ্যাপল এ১৭ বায়োনিক চিপ’ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা থ্রিএনএম প্রক্রিয়া ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এ আপগ্রেড প্রসেসর উন্নত গতি এবং দক্ষতা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডিভাইসটিতে ৮ জিবি এলপিডিডিআর-৫ র্যাম যুক্ত করা হবে।