‘ই-কমার্স লজিস্টিক সেক্টরে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় বর্ষসেরা সিওও পুরস্কার পেয়েছেন দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং খন্দকার তাসফিন আলম। এ বছর ২২ ক্যাটাগরিতে ৩৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে জমা পড়া শতাধিক মনোনয়নের মধ্যে ২৮ ব্যক্তিকে দেয়া হয় সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ড।
শনিবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।
এর মধ্যে গ্রামীণফোন, দারাজ, বিকাশ থেকে একাধিক ব্যক্তি পেয়েছেন এই পুরস্কার। গ্রামীণফোন থেকে সিইও ইয়াসির আজমান পেয়েছেন বর্ষসেরা সিইও এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। তিন ছাড়াও ভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরো দুইজন পেয়েছেন এই পুরস্কার। চিফ করপোরেট অফিসার এর সম্মাননা পেয়েছেন যৌথভাবে দারাজের চিফ করপোরেট অফিসার হাসিনুল কুদ্দুস রুশো এবং প্লাস্টিক রিসাইকেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করে ইউনিলিভারের পাবলিক রিলেশন অফিসার শামীমা আক্তার । এছাড়াও বর্ষসেরা চিফ ডিজটাল অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক প্রথম আলো’র এবিএম জাবেদ সুলতান।
বর্ষসেরা টেক সিইও/এমডি হয়েছেন রিভ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজাউল হাসান। এছাড়াও টেলিকম খাতে ক্লাউড ও আইওটিতে বিশেষ অবদান রাখায় বর্ষসেরা বিজনেস ডিরেক্টর গ্রামীণফোন চিফ বিজনেস অফিসার আসিফ নাইমুর রশীদ; বর্ষসেরা সিইও ইউপে’র মোহাম্মাদ রহমত পাশা; অন্টোরপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার বিকাশ লিমিটেডের সিইও কামাল কাদির। এবার বর্ষসেরা চিফ ইভন্ট অফিসার হয়েছেন বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের মঞ্জুলা মোর্শেদ।
বর্ষসেরা সিএমও হয়েছেন গ্রামীণফোনের মোহাম্মাদ সাজ্জাদ হাসিব ও প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চৌধুরী কামরুজ্জামান। হাসিবের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন একই বিভাগের ফারহানা জামান। প্রকৌশলে বর্ষসেরা এনার্জি পাওয়ারের এমডি হুমায়ুন রশিদ।
বর্ষসেরা স্টার্টআপ সিইও হয়েছেন শেয়ারট্রিপ কো-ফাউন্ডার সাদিয়া হক। উদ্ভাবনে বর্ষসেরা সিইও হয়েছেন টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব। সাপ্লাইচেইন ডিরেক্টর ইউনিলিভারের রুহুল কুদ্দস খান। বর্ষসেরা সিটিও হয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের নুরুন্নাহার বেগম। ফিন্যানন্সিয়াল খাতে এমডি অব দ্যা ইয়ার এমিটিবি’র সৈয়দ মাহবুবুবর রহমান, এসএমসিজি’র বর্ষসেরা সিইও প্রাণআরএফএল সিইও ইলিয়াস মৃধা। উন্নয়ন খাতের জন্য বর্ষসেরা হয়েছেন সাজিদা ফাউন্ডেন্ডেশনের সাজিদা ফিজা কবির। বর্ষসেরা সিএফও হয়েছেন বার্জার পেইন্টের সাজ্জাদ রহিম চৌধুরী ও প্রাণ আরএফএল’র উজমা চৌধুরী।
২০১৮ সালে দারাজ বাংলাদেশে যোগদান করেন খন্দকার তাসফিন আলম। সেই সময়ে দারাজ বাংলাদেশের প্রথম বাংলাদেশী সিওও ছিলেন তিনি। দারাজ বাংলাদেশে যোগদানের আগে খন্দকার তাসফিন আলম বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি টেলিকম অপারেটরের কাজ করেছেন এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে টেলিকম শিল্পে কাজ করেছেন। তিনি লন্ডন বিজনেস স্কুল এবং আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় পড়াশুনা করেন। এছাড়াও ওআইসি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি শেষ করেন ।