চেক প্রতারণার ৯টি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিতর্কিত ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার।
সোমবার সাতটি মামলার শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। অন্য দুটি মামলায় জামিন দেন মহানগর হাকিম আরফাতুল রাকিব।
আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিমের পেশকার আতিকুর রহমান বলেন, “আমাদের এখানে ছয়টি মামলা ছিল নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার, আরেকটি দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ এর অভিযোগ। এর সবগুলো ধারাই জামিনযোগ্য; শুধুমাত্র ৪০৬ ধারা ছাড়া।
“যেহেতু ওই মামলাটিতে ৪০৬ ধারা থাকলেও আরজিতে বিশ্বাসভঙ্গের উপাদান ছিল না। যে কারণে জামিন হয়ে গেছে।”
গত রোববার রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান শিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চেক প্রতারণার ৯টি মামলায় পরোয়ানা থাকায় সেগুলোতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে শিকদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন বিচারক।
২০২০ সালের ২৬ জুলাই আলেশা মার্ট যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়। একই বছরের ১০ নভেম্বর ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইলেন্স নেয়। পরের বছরের ৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আলেশা মার্টের যাত্রা শুরু হয়।
যাত্রা শুরুর পরপরই কম মূল্যে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় কোম্পানিটি; তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে কিংবা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্স ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা অর্থ পাচার (মানি লন্ডারিং) করে আসছিল বলে এর আগে সিআইডি জানিয়েছিল।
মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য না দিতে পেরে অনেক গ্রাহককে চেক দিয়েছিল আলেশা মার্ট। কিন্তু কোম্পানিটির ব্যাংক হিসাবে নির্দিষ্ট তারিখে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেই চেক প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর ভুক্তভোগীরা ই-কমার্স কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করেন।