আরো ৪০ লাখ ডলার নতুন বিনিয়োগ পেলো দেশি স্টার্টআপ চালডাল। এরমধ্যে ৯০ শতাংশই বিদেশী বিনিয়োগ। বাকি ১০ শতাংশ মিলেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশের নিয়মিত রাউন্ডআপ থেকে। সম্প্রতি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্টার্টআপ শপআপ ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার পর কোনো আলোচিত স্টার্টআপ হিসেবে এটাই এ বছরের দ্বিতীয় বিদেশী বিনিয়োগ।
বাংলাদেশের উদ্ভাবনী এই মুদী দোকানভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডাল ডট কমে বিনিয়োগ করা ওয়াই কম্বিনেটর (ycombinator) এবং স্ক্যালা (scala) সহ আরো ১৫টির মতো বিদেশী ভেঞ্চর ক্যাপিটাল কোম্পানি এই বিনিয়োগ করেছে বলে জানিয়েছেন চালডালডটক সহ প্রতিষ্ঠাতা ওয়াসিম আলীম। তবে সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি পাওয়া নতুন বিনিয়োগকারীদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।
তিনি বলেছেন, নতুন বিনিয়োগের টাকা গবেষণা ও উন্নয়নেই শেষ হয়ে যাবে। আরো বিনিয়োগ পাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
এ পর্যন্ত চালডাল ডটকম মোট ৩৫ মিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ পেয়েছে জানিয়ে অপর সহ প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ বলেছেন, অনেকদিন ধরেই নতুন বিনিয়োগ খুঁজঠিলাম। এখন যা পেলাম তা ব্যবসায় সম্প্রসারণে ব্যয় করা সম্ভব হবে না। ইনভেন্টরি ও সার্ভিসের মান বাড়াতে ব্যয় করা হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা এবার ওয়েবে এবং লজিস্টিকে এআই ব্যবহা করতে যাচ্ছি।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও যশোর। কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চালডাল ই-ভাউচার কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে।
প্রসঙ্গত, চালডাল ডটকমে এখন পর্যন্ত ২৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ এসেছে। ৯টি ফান্ডিং রাউন্ড থেকে সংগ্রহ করেছে ৩০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ। সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ পেয়েছে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ১০ মিলিয়ন ডলার। সি রাউন্ডে এই বিনিয়োগ পেয়েছে লন্ডনের এক্সপ্লোরেশন ক্যাপিটেলের কাছ থেকে। এর আগে ২০২০ সালে লন্ডনের রেজর ক্যাপিটেল বি সিরিজে এবং ২০২৫ সালের ১৯ আগষ্ট সিড রাউন্ডে যুক্তরাজ্যের ওয়াই কম্বিনেটরের কাছ থেকেও বিনিয়োগ পেয়েছে চালডাল।
এছাড়াও ২০২৪ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ ভেঞ্চার্স ক্যাপিটেল থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার ডলারের বড় বিনিয়োগ পেয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে ২০১৩ সালের পর থেকে স্টার্টআপের ধারণা বিস্তৃত হতে থাকে। ২০২০ থেকে ২০২১ সালে ১০ গুণ বিনিয়োগ বেড়েছে এতে। স্টার্টআপে যেসব বিনিয়োগ আসছে, তার ৯৫ শতাংশের বেশি বিদেশী বিনিয়োগ। স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগের ৭০ শতাংশের বেশি হয়েছে ফিনটেকে (আর্থিক প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান)। এরপর লজিস্টিক ও মোবিলিটিতে ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ই-কমার্স ও রিটেইলে প্রায় ৬ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাত আড়াই শতাংশ, কনজ্যুমার সেবায় ২ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং সফটওয়্যার ও প্রযুক্তিতে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগ এসেছে।