তরুণদের আইসিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে টানতে আগামী অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বাজেট প্রস্তাবে এমন তথ্য জানানো হয়।
‘জনমিতিক লভ্যাংশ : তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ নামে এক পয়েন্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামনে জনমিতিক লভ্যাংশের যে সুযোগ রয়েছে তা কাজে লাগাতে হবে। ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ স্লোগান সামনে রেখে দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবককে সংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিকে রূপান্তরের জন্য সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
বাজেট বক্তব্যে বলা হয়েছে, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে ১১১টি প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৮টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করার কথা জানানো হয়েছে। আর এসব করে দেশে সবধরনের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে যুবকদের উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা শুধু স্টার্টআপ উন্নয়নে বরাদ্দ করার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তাবে তিনি এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। এর আগে বাজেটে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।