স্মার্টফোনের কারণের একসময়ের জনপ্রিয় অনেক পণ্য এখন ‘অচল’। এখন এর মধ্যে পড়ে গেছে ‘ডিজিটাল ক্যামেরা’। মানুষ এখন আর ছবি তুলতে খুব বেশি ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করছে না। ক্যামেরা অ্যান্ড ইমেজিং প্রোডাক্টস অ্যাসোসিয়েশন (সিআইপিএ) দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল ক্যামেরা প্রযুক্তি পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে। এ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৫১ সাল থেকে ডিজিটাল ক্যামেরার ব্যবহার শুধু বেড়েছে। এর মধ্যে ২০০৮ ও ২০১০ সালে ডিজিটাল ক্যামেরার বাজারের প্রবৃদ্ধি ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এরপর থেকে ক্রমাগত কমছে এর ব্যবহার।
জার্মান বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টাটিসটা সিআইপিএর সদস্য অলিম্পাস, ক্যাসিও, ক্যানন, কোডাক, সনি ও নাইকনের মতো প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে বিশ্বব্যাপী সিআপিএ সদস্যদের তৈরি ফটো ডিভাইসের প্রবৃদ্ধি অনেক কমেছে।
২০১০ সালে সর্বোচ্চ ১২ কোটি ১০ লাখ ইউনিট ডিজিটাল ক্যামেরা বিক্রি হয়েছে। এরপর থেকে বাজারে ডিজিটাল ক্যামেরার চাহিদা ৮৪ শতাংশ কমে গেছে। গত বছরে মাত্র ১ কোটি ৯৪ লাখ ইউনিট ক্যামেরা বাজারে এসেছে, যা গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বাজারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ কমেছে পোর্টেবল কম্প্যাক্ট ক্যামেরা, হাই-অ্যান্ড ইন্টারচেঞ্জেবল লেন্স ক্যামেরার ক্ষেত্রে।
ক্যামেরায় মানুষের আগ্রহ কমার পেছনে দায়ী স্মার্টফোন। স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের স্মার্টফোন ও প্রথম আইফোনের সময় হয়তো ছবি তুলতে কম্প্যাক্ট ক্যামেরার প্রয়োজন বোধ করতেন অনেকেই। কিন্তু এখনকার যুগে আইফোন এক্সএস বা গ্যালাক্সি এস ১০–এর মতো ডিভাইসে অনেক ভালো ছবি তোলা যায়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৭ সালেই বিশ্বজুড়ে ১ হাজার ২০০ বিলিয়ন ছবি তোলা হয়েছিল, যার ৮৫ শতাংশ ছবি তোলা হয়েছিল স্মার্টফোনে। মানব ইতিহাসে তখনই এটা সবচেয়ে বেশি তোলা ছবির রেকর্ড হয়ে গিয়েছিল। গত দুই বছরে এ সংখ্যা নিশ্চয়ই আরও অনেক বেড়ে গেছে!