চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি আমাজনে প্রি-অর্ডারের জন্য প্রকাশিত হবার মাত্র একদিনের মাথায় মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট আমাজনের বেস্ট সেলার তালিকায় স্থান পেয়েছিলো বাংলাদেশি বংশদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হেমি হোসেনের বই ‘ফায়ার ইউর বস’। এখনো বেস্ট সেলিং বইগুলোর একটি এটা।
শনিবার রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত বাংলাদেশে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বইটির লেখক হেমি হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী, অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক শামস রহমান, ‘নিজের বলার মত একটি গল্প’ এর প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার চৌধুরী প্রমুখ।
উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা নিয়ে লেখা এই বই ও এর পেছনের গল্প সম্পর্কে হেমি হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশে অনেক দরিদ্র একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার বাবা সরকারি কর্মচারী ছিলেন। সেখান থেকে আজকে আমি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের একটি কোম্পানির মালিক। এই অবস্থায় আসতে আমাকে অনেক পরিশ্রম ও ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ মিলিয়ে এ পর্যন্ত আমার প্রশিক্ষিত ৩০০ জন সফল উদ্যোক্তা রয়েছেন। আমার লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে দেশে এক হাজার সফল উদ্যোক্তা তৈরি করা।
তিনি বলেন, একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতাগুলো আমি অর্জন করেছি এবং যা মূলত ইন্টারন্যাশনাল লাইফ কোষ এবং এন্টার চেপে শিখিয়ে থাকি তার সবকিছুই একত্রিত করা হয়েছে এই বইটিতে। বইটিতে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা- যা চাকরিজীবী থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আবশ্যক। এছাড়া রয়েছে আমার সিগনেচার ৯পি ফর্মূলা। উদ্যোক্তা হওয়ার পথে আমাকে অনেক বার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যবসা করতে গিয়ে আমাকে প্রায় দুই কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেখান থেকে আজ বাংলাদেশ ও সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছি।
এছাড়া বইটিতে রয়েছে হেমি হোসেনের সংক্ষিপ্ত জীবনী। এসব নিয়েই মূলত হোসেন লিখেছেন ‘ফায়ার ইউর বস’। তিনি চান বাংলাদেশের তরুণরা চাকরিজীবী থেকে চাকরিদাতা হয়ে উঠুক।