আমরা অনেকেই নতুন ল্যাপটপ কেনার ব্যাপারে ভাবছি। এর প্রধানত ২টি কারণ হতে পারে। এই কারণগুলো হলো, হয় আপনার কোন ল্যাপটপ নেই অথবা আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকা সত্ত্বেও আপনি তা নিয়ে তৃপ্ত না। আর ল্যাপটপ বা অন্য যেকোন কিছু কিনতে গেলে আমাদের একটা জিনিস মাথায় রাখতে হয়। আর তা হলো কম টাকায় বেশি সুবিধা। আর এই কথাটাই মাথায় রেখে ৩০ হাজার টাকার আশেপাশে এমন ৫টি ল্যাপটপ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এই লিস্টে ডাউন-আপ স্টাইলে ল্যাপটপ সাজানো থাকবে। অর্থাৎ আমাদের তালিকা হবে নিম্ন মানের ল্যাপটপ থেকে উচ্চমানের ল্যাপটপ।
তবে চলুন জেনে নেই আমাদের এই তালিকায় কী কী আছে।
লেনোভো আইডিয়াপ্যাড এস১৪৫
লিনোভো তাদের আইডিয়াপ্যাড সিরিজের ল্যাপটপ দিয়ে বাজাড়ে বেশ নাম কামিয়েছে। আর এরকমই এক ল্যাপটপ হলো আইডিয়াপ্যাড। এতে সিপিইউ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এএমডি৪ ৯১২৫ প্রসেসর। এতে রয়েছে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআর৪ র্যাম এবং অতিরিক্ত কোন র্যাম স্লট নেই আর এতে সর্বোচ্চ ৪ গিগাবিট পর্যন্ত র্যামই ব্যবহার করা যাবে। তবে এতে আছে একটি এমডট ২ স্লট এবং একটি ১ টেরাবাইট স্টোরেজ হার্ডডিস্ক। পাশাপাশি ১৫.৬ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে এবং ৫-৬ ঘন্টার ব্যাটারি ব্যাকআপ আছে এই আইডিয়াপ্যাডে। এবং এর বাজার মূল্য ২৭ হাজার ৫০০ টাকার আশেপাশে। তাই যারা ল্যাপটপ আপগ্রেড করার চিন্তায় আছেন তাদের জন্য এই ল্যাপটপ খুব একটা ভাল হবে না। কিন্তু যারা ক্লাসিকাল বা আপগ্রেডের কোন প্রয়োজন মনে করেন না তাদের জন্যে এটা একটা ভাল পছন্দ হতে পারে।
চিউই হিরোবুক প্রো
এই ল্যাপটপের ৮ গিগাবাইটের ডিডিআর৪ র্যাম সবার নজর কাড়তে সক্ষম। পাশাপাশি এতে আছে ইন্টেল সেলেরন এন৪০০০ সিপিইউ। এতে আছে ২৫৬ গিগবাইট স্টোরেজ এর এমডট ২ সাটা এসএসডি। এতে আরও একটা এমডট ২ পোর্ট আছে এবং এতে সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইটের র্যাম ব্যবহার করা যাবে। ডিস্প্লে হিসেবে এতে আছে ১৪.১ ইঞ্চির ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে এবং এর ব্যাটারি ব্যাকআপ ৮-৯ ঘন্টা। এই ল্যাপটপ পাওয়া যাবে মাত্র ২৬ হাজার ৫০০ টাকায়।
আসুস এক্স৫০৯এমএ
এই ল্যাপটপে আছে ইন্টেল সেলেরন এন৪০২০ প্রোসেসর এবং ৪ গিগাবাইটের ডিডিআর৪ র্যাম। এতে সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইটের র্যাম ব্যবহার করা যাবে এবং অতিরিক্ত কোন র্যাম স্লট নেই। পাশাপাশি এতে আছে একটা এমডট ২ পোর্ট এবং একটা ১ টেরাবাইটের হার্ড ডিস্ক। এতে আছে ১৫.৬ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে এবং এর ব্যাটারি ৫-৬ ঘন্টা ব্যাআপ দিতে সক্ষম। আসুস ব্র্যান্ডের এই ল্যাপটপ পাওয়া যাবে মাত্র ২৯ হাজার ৮০০ টাকায়।
লেনোভো আইডিয়াপ্যাড এস১৪৫
এই ল্যাপটপে আছে ইন্টেল পেন্টিয়াম সিলভার এন৫০০০ প্রোসেসর এবং র্যাম হিসেবে থাকছে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআর৪ র্যাম। পাশাপাশি এতে রয়েছে একটা অতিরিক্ত র্যাম স্লট এবং এতে সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত র্যাম ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এতে আছে ১ টেরাবাইটের একটা হার্ড ডিস্ক এবং একতা এমডট ২ স্লট। এই ল্যাপটপে আছে ১৫.৬ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে এবং ৫-৬ ঘন্তা ব্যাকাপের ক্ষমতা। এই ল্যাপটপের বাজার মূল্য ৩১ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা।
ওয়ালটন প্রিলুড এন৫০
এতে প্রসেসর হিসেবে থাকছে ইন্টেল পেন্টিয়াম সিলভার এন৫০০০ এবং সাথে আছে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআর৪ র্যাম। এতে থাকছে একটি অতিরিক্ত র্যাম স্লট এবং একটি এমডট ২ পোর্ট। এই ল্যাপটপে সর্বোচ্চ ৮ গিগাবাইটের র্যাম ব্যবহার করা যাবে। এতে আছে ১৫.৬ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে এবং সাড়ে ৫ ঘন্তা থেকে ৬ ঘন্টা ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতা। এবং এই ল্যাপটপ টি পেতে পারেন মাত্র ২৮ হাজার ৭৫০ টাকায়।
উপরের ল্যাপটপগুলোর বাজার মূল্য একে জায়গায় একেক রকম হতে পারে। আর ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এই ল্যাপটপগুলোই বাংলাদেশের বাজারে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।